ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্তমান প্রজন্মের নায়িকা মাহিয়া মাহি। বিচ্ছেদের পর সন্তানকে নিয়ে ফুরফুরে মেজাজে আছেন এই নায়িকা। বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গে সুন্দর সময় কাটাচ্ছেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি মাহিয়া মাহি রাজনীতিতে বেশ সক্রিয় ছিলেন। আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচনের জন্য দুই দুবার মাঠে নেমেছিলেন। মনোনয়ন না পেলেও গত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে। খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি, বিশাল ব্যবধানে হেরে গিয়েছিলেন।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন বিপাকে পড়তে পারেন এই তারকা। কিন্তু গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে এখনও কালো তালিকায় পড়েননি ‘অগ্নি’ খ্যাত এ তারকা। ইতোমধ্যে বিদেশ ঘুরে দেশে ফিরেছেন।
সম্প্রতি বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন মাহি। সেখানে এই নায়িকাকে দেড় ঘণ্টা অপেক্ষায় রেখে বিশেষভাবে চেক করা হয় নথিপত্র। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে তার নাম আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও বার্তায় বিষয়টি নিজেই জানিয়েছেন মাহি।
ওই ভিডিওতে মাহি বলেন, এক থেকে দেড় ঘণ্টা হবে, আমি জাস্ট বসেছিলাম। কারণ, কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হতে চাইছিল আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আছে কি না। ডিজিএফআই, এনএসআইসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট ভালোভাবে চেক করার পরই ফ্লাই করতে পেরেছি।
বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে তার নাম না থাকলেও মাহির কপালে আছে চিন্তার ভাঁজ। তবে সেটা অন্য বিষয় নিয়ে।
নায়িকার বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পুরোনো একটি ফেসবুক পেজ। যার নিয়ন্ত্রণ অন্য কারোর হাতে। তা-ও আবার ভেরিফায়েড (নীল ব্যাজ) পেজ। ২০১৪ সালে মাহির এই পেজটি হ্যাকড হয়। এখান থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কিছু ছড়ানোও হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তা নিজের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি মাহি। আর এর কারণ মাহি নিজের অ্যাকাউন্ট বা পেজ ভেরিফাইডও করতে পারছে না। বাধ্য হয়ে ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে পরামর্শ চেয়েছেন অগ্নিকন্যা’ খ্যাত এই চিত্রনায়িকা।
মাহি বলেন, এই ভেরিফাইড পেজটা আমার কন্ট্রোলে নেই। ২০১৪ সালে কে বা কারা হ্যাক করেছিল। যেহেতু মাহিয়া মাহি নামে এটা ভেরিফাইড তাই আমার নতুন কোনো পেজও আর ব্লু ব্যাজ পাচ্ছে না।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts sent to your email.