তৃতীয় দফায় রিমান্ড শেষে চিত্রনায়িকা পরীমনিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়েছে। শনিবার (২১ আগস্ট) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সিআইডি তাকে আদালতে হাজির করে।
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে পরীমনির রিমান্ড ও জামিন শুনানি শুরু হয়েছিল। শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে একদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দিয়েছিলেন ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম। তৃতীয়বারের মতো পরীমনিকে রিমান্ড শেষে আজ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) আদালতে হাজির করেছে।
এর আগে গত বুধবার (১৮ আগস্ট) এ অভিনেত্রীর আরও পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। বুধবার (১৮ আগস্ট) আদালতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তাফা।
তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) শুনানির দিন ধার্য করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাসের আদালত। একই দিন পরীমনির জামিন আবেদনের শুনানিও করার কথা ছিল।
পূর্বের জিজ্ঞাসাবাদে মামলার ঘটনা ও নেপথ্যে থাকা মূল হোতাদের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন পরীমনি। আসামিকে রিমান্ডে পাওয়া গেলে মাদক ব্যবসার মূল হোতাদের গ্রেপ্তার এবং এর অবৈধ উৎসসহ অপরাধলব্ধ আয়ের সন্ধান পাওয়া সম্ভব হবে। উল্লেখ করে রিমান্ড আবেদন করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তাফা।
সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সৌরভী। এর আগে গত ১৬ আগস্ট নায়িকা পরীমনির জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী।
১৮ আগস্ট শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এরই মধ্যে সিআইডি রিমান্ড আবেদন করায় পিছিয়ে দেওয়া হয় জামিন শুনানি। বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) পরীমনির রিমান্ড এবং জামিন শুনানি হয়।
পরীমনি নির্দোষ এবং ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবি করেছেন তার আইনজীবী মো. মজিবুর রহমান।
তিনি উল্লেখ করেন, আসামি একজন নারী। ফলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর ৪৭(১) (গ) মোতাবেক জামিন পেতে পারেন। জামিন পেলে আসামি জামিনের শর্ত ভঙ্গ করবেন না এবং আদালতের নির্দেশ মতে জামিনদার প্রদান করবেন।
আসামি দু’দফায় ছয়দিন রিমান্ডে থাকাসহ প্রায় ২৬ ঘণ্টা পুলিশ হেফাজতে থাকলেও মামলা সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বা সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
জামিন আবেদনে আরও বলা হয়, আসামি ‘ভারটিগো’ এবং ‘প্যানিক অ্যাটাক’ এর রোগী, দীর্ঘসময় পুলিশ কাস্টডিতে থেকে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বিপর্যস্ত ও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। চিকিৎসার স্বার্থে দরখাস্তকারী আসামিকে জামিনে মুক্তি দেওয়া আবশ্যক। আসামির দখল ও নিয়ন্ত্রণ থেকে মদ ও মাদক উদ্ধার হয়নি।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts sent to your email.