আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রিমান্ড ও জামিন শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) দিন ধার্য করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাসের আদালত।
এর আগে পরীর আইনজীবী মজিবুর রহমান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, পরীমনির মাদক মামলার জামিন শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করেছেন আদালত। এ মামলায় পরীমনি জামিন পাওয়ার হকদার। আশা করছি, পরীমনি জামিন পাবেন।
গত সোমবার (১৬ আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম (সিএমএম) রেজাউল করীম চৌধুরীর আদালতে আইনজীবী মজিবুর রহমান পরীমনির জামিন আবেদন করেন। পরে শুনানির জন্য আদালত বুধবার দিন ধার্য করেন।
মাদক মামলায় গ্রেপ্তার চিত্রনায়িকা পরীমনি বর্তমানে কাশিমপুর নারী কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। সেখানে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে আছেন তিনি। দুই দফা রিমান্ড শেষে ১৩ আগস্ট কারাগারে পাঠানো হয় পরীমনি ও তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুকে।
গত ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে পরীমনিকে আটক করে র্যাব। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তার বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক পাওয়া যায় পরীমনির বাসা থেকে। ৫ আগস্ট র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাদকে আসক্ত হওয়ার কথা স্বীকার করেন পরীমনি।
তিনি জানান, ২০১৪ সালে ঢালিউডে অভিষেক হয় তার। ২০১৬ সাল থেকে অ্যালকোহলে আসক্ত হয়ে পড়েন। প্রয়োজন মেটাতেই বাসায় মিনিবার স্থাপন করেছেন। মদ খাওয়ার লাইসেন্সও আছে পরীমনির।
ওই দিনই বনানী থানায় মাদক মামলা দায়ের করা হয় পরীমনির বিরুদ্ধে। সন্ধ্যায় সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে তোলা হয় পরীমনিকে। শুনানি শেষে চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ।
চারদিনের রিমান্ড শেষে পরীমনিকে আবারও রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে সিআইডি। শুনানি শেষে ১০ আগস্ট দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস।
সবশেষ শুনানিতে পরীমনির জামিন আবেদন করেন আইনজীবী মজিবুর রহমান। আবেদনে পরীমনিকে ‘ভার্টিগো’ ও ‘প্যানিক অ্যাটাকের’ রোগী উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরীমনি একজন ‘প্যানিক অ্যাটাক’র রোগী। পুলিশ কাস্টডিতে নির্যাতনের শিকার হয়ে তিনি বিপর্যস্ত। তার চিকিৎসার স্বার্থে জামিন দেওয়া হোক।
আইনজীবী মজিবুর আরও বলেন, পরীমনির বাসা থেকে উদ্ধার ১৮ লিটার মদ আসামির দখল থেকে উদ্ধার করা হয়নি। আসামি পরীমনি একজন প্রথম সারির চিত্রনায়িকা। ‘ফোর্বস ম্যাগাজিন’ ডিজিটাল তারকা হিসেবে বিশ্বের ১০০ জনের মধ্যে তার নাম রয়েছে, যা বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জন্য গৌরবজনক। আসামি জেলহাজতে আটক থাকলে চলচ্চিত্রের অঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts sent to your email.