বেশ কয়েকদিন ধরেই অভিযোগ শোনা যাচ্ছে শিল্পী সমিতির কার্যালয় থেকে তিন কিংবদন্তি অভিনেতা সোহেল রানা, ফারুক ও উজ্জ্বলের ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসেই কেন এমনটা করলেন এ নিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণের সমালোচনায় মেতেছেন অনেক তারকা।
বিষয়টি নিয়ে কিছু গণমাধ্যমেও খবর এসেছে। চিত্রনায়ক রুবেলও এ বিষয়ে সমালোচনা করেছেন।
তবে তিন কিংবদন্তির ছবি সরানো প্রসঙ্গে মিথ্যাচার হচ্ছে দাবি করেন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা নিপুণ।
এ চিত্রনায়িকা গত বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বলেন, ‘একটি মিথ্যা কথা ছড়ানো হচ্ছে মনগড়া। ফারুক, সোহেল রানা ও উজ্জ্বল ভাইদের ছবি সরানোর কি কোনো কারণ বা লজিক আছে? কাদের মাথা থেকে এসব নেতিবাচক চিন্তাভাবনা আসে আমি জানি না। তারা আমাদের আদর্শ। আমাদের কাছে তারা কিংবদন্তি। উনারা আমাদের মাথার মুকুট।
সমিতির কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ফারুক ভাই, সহযোগী হিসেবে সোহেল রানা ভাই ও উজ্জ্বল ভাইয়ের ছবি টানানো ছিল। তাদের ছবির কাচটা ভেঙে গিয়েছিল। সেটাই সারিয়ে আনা হয়েছে। এবং তা আমাদের ব্যক্তিগত আগ্রহ ও খরচে করা হয়েছে।
অথচ ছড়ানো হচ্ছে তিনজনের ছবি আমরা সরিয়ে দিয়েছি। ছবি সংস্কার করিয়ে আবারও নামফলক নির্ধারিত স্থানেই বসানো হয়েছে।’
নিপুণ আরও বলেন, ‘তারা সম্মানের জায়গায় ছিলেন, চিরদিন থাকবেন। আমরা চিন্তা করছি পদের ঝামেলা মিটলে শুধু এই তিনজন কেন, তাদের সঙ্গে নায়ক রাজ্জাক, আলমগীর, আহমেদ শরীফ, খলিল সাহেবসহ অনেক কিংবদন্তির ছবি রাখা হবে।’
প্রসঙ্গত, ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির যাত্রা শুরু হয়। এই সমিতি গঠনের প্রস্তাব দেন নায়ক সোহেল রানা, প্রতিষ্ঠা করেন নায়ক ফারুক এবং সমিতি গঠনে সহায়তা করেন নায়ক উজ্জ্বল। এই তিনজনের উদ্যোগে গঠিত শিল্পী সমিতির প্রথম সভাপতি হন নায়করাজ রাজ্জাক। সে সময় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন আহমেদ শরীফ।
সমিতির যাত্রা শুরুর ৩৫ বছর পর উদ্যোক্তাদের ছবিসহ একটি নামফলক শিল্পী সমিতিতে তৈরি করা হয়। উদ্যোক্তাদের প্রতি সম্মান জানাতে এই পদক্ষেপ নেন মিশা-জায়েদের কার্যনির্বাহী পরিষদ। সেটাই সংস্কার করলেন ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণ।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts sent to your email.