টাঙ্গাইলে ‘তাণ্ডব’ প্রদর্শনী বন্ধ: সাজু মেহেদীর উদ্বেগ, শিল্পের স্বাধীনতায় আঘাতের শঙ্কা
টাঙ্গাইলের কালিহাতিতে ‘তাণ্ডব’ সিনেমার প্রদর্শনী বন্ধ করে দেওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চলচ্চিত্র পরিচালক, অভিনেতা এবং টোকাই নাট্যদলের প্রতিষ্ঠাতা সাজু মেহেদী। তিনি এই ঘটনাকে শিল্পের স্বাধীনতা ও সংস্কৃতির ওপর সরাসরি আঘাত হিসেবে আখ্যায়িত করে এমন কর্মকাণ্ড বন্ধে কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
টাঙ্গাইলের কালিহাতিতে ‘তাণ্ডব’ সিনেমার প্রদর্শনী আকস্মিকভাবে বন্ধ করে দেওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চলচ্চিত্র পরিচালক, অভিনেতা এবং টোকাই নাট্যদলের প্রতিষ্ঠাতা সাজু মেহেদী। এই ঘটনাকে তিনি শিল্পের স্বাধীনতা ও সংস্কৃতির উপর সরাসরি আঘাত হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
“একজন বিনোদন কর্মী হিসেবে এই ঘটনাকে আমি শিল্পের স্বাধীনতা ও সংস্কৃতির উপর আঘাত বলে মনে করি।”
তার মতে, সিনেমা কেবল বিনোদনের মাধ্যম নয়, এটি সমাজকে তুলে ধরার এবং বিভিন্ন ভাবনা প্রকাশেরও একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম। সুস্থ বিনোদনের সুযোগ কেড়ে নেওয়াকে তিনি সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে সংকুচিত করার সামিল বলে মনে করেন। তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়েছেন, “প্রতিবাদের নামে কোনো শিল্পকর্মের প্রদর্শনী বন্ধ করে দেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
সাজু মেহেদী তার স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন, চলচ্চিত্র প্রদর্শনীতে বাধা সৃষ্টি করা কেবল প্রযোজক বা হল মালিকদের আর্থিক ক্ষতির কারণ হয় না, বরং এটি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বিকাশের পথকেও রুদ্ধ করে দেয়। তার আশঙ্কা, এমন ঘটনা ভবিষ্যতে নির্মাতাদের নতুন কাজ করতে নিরুৎসাহিত করবে এবং স্বাধীন মত প্রকাশের ক্ষেত্রে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করবে।
এই পরিস্থিতিতে সাজু মেহেদী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, শিল্পের স্বাধীনতা এবং সুস্থ সংস্কৃতির পরিবেশ বজায় রাখতে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।” একই সাথে, ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেই বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখার জোর দাবি জানিয়েছেন তিনি। পরিশেষে, তিনি “সবাই মিলে শিল্পের স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়াই” স্লোগান তুলে তার বার্তা শেষ করেছেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি টাঙ্গাইলের কালিহাতিতে স্থানীয় ওলামা পরিষদ ও সাধারণ জনগণের প্রতিবাদের মুখে ‘তাণ্ডব’ সিনেমার প্রদর্শনী বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন আয়োজকরা। টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের কমিউনিটি সেন্টার কাম মাল্টিপারপাস হলে এক মাসের জন্য ভাড়া নিয়ে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু আড়াই দিনের মাথায় প্রদর্শনী বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আয়োজকদের ৯ লাখ টাকারও বেশি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রতিবাদকারীদের দাবি ছিল, এই সিনেমা প্রদর্শনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং অনৈতিক কার্যকলাপের জন্ম দেবে।