বিনোদন

বিক্ষোভের মুখে টাঙ্গাইলে থামল শাকিব খানের ‘তাণ্ডব’: বন্ধ হলো সিনেমা প্রদর্শনী

টাঙ্গাইলের কালিহাতীর আউলিয়াবাদে ‘তাণ্ডব’ সিনেমার প্রদর্শন বন্ধ করে দিয়েছেন আয়োজকরা। ওলামা পরিষদ ও স্থানীয়দের বিক্ষোভ এবং হুমকির মুখে মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুর থেকে জেলা পরিষদের কমিউনিটি সেন্টার কাম মাল্টিপারপাস হলে সিনেমা প্রদর্শন বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এতে কয়েক লাখ টাকার লোকসানের মুখে পড়েছেন আয়োজকরা।

গত শুক্রবার (৭ জুন) থেকেই পারখি ইউনিয়নের ওলামা পরিষদের নেতারা ‘তাণ্ডব’ সিনেমার প্রদর্শন বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরবর্তীতে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত আবেদনও জমা দেন।

আন্দোলনকারী মাওলানা আব্দুল্লাহ বলেন,

মসজিদ-মাদরাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদানে ক্ষতি হতে পারে। এছাড়া অসামাজিক কার্যকলাপ হতে পারে। সেজন্য হলটি (সিনেমা প্রদর্শন) বন্ধের জন্য বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি দেওয়া হয়।


স্থানীয় কামরুজ্জামান সাইফুল ও সাজু মেহেদীর নেতৃত্বে জেলা পরিষদের কমিউনিটি সেন্টার কাম মাল্টিপারপাস হল ভাড়া নিয়ে ‘তাণ্ডব’ সিনেমার প্রদর্শন আয়োজন করা হয়েছিল। হলটি এক মাসের জন্য ভাড়া নেওয়া হলেও প্রাথমিকভাবে ১০ দিনের ভাড়া পরিশোধ করা হয়। ঈদের দিন থেকে কালিহাতীর আউলিয়াবাদসহ সারাদেশের ১৩২টি প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি চলছিল।

Image

আয়োজক সাজু মেহেদী জানান,

কমিউনিটি সেন্টারের এসি সার্ভিস, টিকিট প্রিন্ট ও স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগে সব মিলিয়ে আমাদের নয় লাখ টাকার বেশি খরচ হয়েছে। আমরা সব মিলিয়ে আড়াই দিনের মতো ছবি চালাতে পেরেছি। ভালো সাড়া পাচ্ছিলাম। এছাড়া আমাদের প্রচারণায় বাধা দেওয়া হয়েছে, পোস্টার লাগাতে দেয়নি ও মাইকিং করতে দেয়নি।

অপর আয়োজক কামরুজ্জামান সাইফুল বলেন,

শুরু থেকে ভালোই সাড়া পাচ্ছিলাম। সকালে কমিউনিটি সেন্টার কাম মাল্টিপারপাস হলের সামনে ব্যানার লাগানোর পর দুই মিনিটও রাখতে পারিনি। বিভিন্নভাবে আমার কাছে হুমকি আসতে থাকে। নিরাপত্তাহীনতার অভাবে বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছি।


এ বিষয়ে কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন জানান,

আয়োজকরা তার কাছে এসেছিলেন এবং তিনি তাদের জানিয়েছেন যে, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়ার এখতিয়ার তার নেই।

কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম বলেন,

বিষয়টি আমি জেনেছি। জেলা পরিষদের হলটি ভাড়া নিয়ে তারা সিনেমা চালাচ্ছিল। এদিকে বন্ধ করার জন্য আমার অফিসে আবেদনও করেছে। তবে আমি ছুটিতে রয়েছি।

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম বলেন,

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তের মাধ্যমে আমরা হলটি ভাড়া দিয়েছিলাম। সঙ্গে কিছু শর্তও দিয়েছিলাম। তার মধ্যে অন্যতম ছিল, সেখানে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে সিনেমা চালানো বন্ধ করতে হবে। পরবর্তীতে কী হয়েছে, আর জানি না।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker