হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে সোমবার আদালতে তোলা হবে
জুলাই আন্দোলনের হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়ার ডিবিতে জিজ্ঞাসাবাদ সম্পন্ন হয়েছে; তাকে আগামীকাল সোমবার আদালতে তোলা হবে বলে পুলিশের উপকমিশনার নিশ্চিত করেছেন।
জুলাই আন্দোলনের হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার ঢাকাই চলচ্চিত্রের চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়ার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ সম্পন্ন হয়েছে। আগামীকাল সোমবার (১৯ মে) তাকে আদালতে তোলা হবে। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
জিজ্ঞাসাবাদ সম্পন্ন, আগামীকাল আদালতে
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেন, “নুসরাত ফারিয়ার বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা রয়েছে। এ কারণে বিদেশে যাওয়ার সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডিবিতে অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে।”
অর্থাৎ, গ্রেপ্তার পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকে আগামীকাল আদালতের সামনে উপস্থাপন করা হবে।
এর আগে গতকাল রবিবার (১৮ মে) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় নুসরাত ফারিয়াকে আটকে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ। তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাকে প্রথমে ভাটারা থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখান থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছিল।
মামলার বিবরণ:
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনের নামে ভুক্তভোগী এনামুলকে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যা চেষ্টা করা হয়। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে এনামুল হক আদালতের আদেশে ভাটারা থানায় মামলাটি করেন।
হত্যাচেষ্টার ওই মামলায় **অপু বিশ্বাস, আসনা হাবিব ভাবনা, নুসরাত ফারিয়া, অভিনেতা জায়েদ খানসহ ১৭ জন তারকাকে** আসামি করা হয়েছে। তা ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের সংশ্লিষ্ট ২৮৩ জন এবং অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার শজনকে ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে।
মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়, এজাহারনামায় আসামিরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন করার জন্য বিপুল অর্থ জোগান দিয়েছেন। এ সময় অন্য আসামিদের ছোড়া গুলি বাদী এনামুল হকের ডান পায়ে লাগলে সঙ্গে সঙ্গে তিনি অজ্ঞান হয়ে রাস্তায় পড়ে যান।
ডিবিতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আগামীকাল আদালতে উপস্থাপনের পর মামলার পরবর্তী কার্যক্রম নির্ধারিত হবে। আদালত তার জামিন আবেদন বা রিমান্ড মঞ্জুর অথবা ভিন্ন কোনো আদেশ দিতে পারেন।