গত ১৭ বছরে বাংলাদেশে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম। আজ শুক্রবার গাজীপুরের শ্রীপুর মিজানুর রহমান খান ডিগ্রি মহিলা কলেজের ৩০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভা, স্মৃতিচারণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
উপাচার্য বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকার এদেশে শিক্ষাকে কম প্রাধান্য দিয়েছিল। তারা মনে করেছিল, এই দেশের মানুষের শিক্ষিত হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
চাষাভুষার দেশে লেখাপড়া শিখে কি হবে। এখানে লেখাপড়া করার প্রয়োজন নেই।’তিনি বলেন, ‘আমরা জানি, যে জাতি শিক্ষায় যত উন্নত, সে জাতি তত উন্নয়নের দিকে অগ্রগামী। তারা ভেবেছিল, পাশের দেশ থেকে আমরা বড় বড় অফিসার আনব।পাশের দেশ থেকে আমরা প্রযুক্তির লোক আমদানি করব। আর এই দেশের জনগোষ্ঠী হবে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। এই সময়টায় বাংলাদেশ এগিয়ে যায়নি, বরং পিছিয়ে গেছে।’ ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘গত জুলাই মাস পর্যন্ত আমি নিজে ভেবেছিলাম, আমার সন্তানদের বাংলাদেশের এই কারিকুলামের লেখাপড়া শিখাব কি-না। তার জন্য আমি আমার সন্তানের শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানও ঠিক করে ফেলেছিলাম। আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানি যে, গত সরকারের ওপর গজব পড়েছিল। এজন্য ৫ আগস্ট তাদের পতন ঘটেছে। এ কারণে বাংলাদেশের জনগোষ্ঠী সব দিক থেকে বেঁচে গেছে। যারা এই অবদান রেখেছে, সেই শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছে। মিজানুর রহমান খান ডিগ্রি মহিলা কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বাউবি উপাচার্যের কাছে সেখানে বাউবির স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতোকোত্তর কোর্স চালুর দাবি জানান। এ প্রেক্ষিতে আবেদন করলেই কোর্স চালুর অনুমতি মিলবে বলেও কথা দেন তিনি। কলেজ পরিচালনা পর্ষদের (গভর্নিং বডি) সভাপতি নাহিন আহমেদ মোমতাজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান ফকির, সাধারণ সম্পাদক আক্তারুল আলম মাস্টার প্রমুখ।