বলছি পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার পৌরসভা ৩ নং ওয়ার্ড এর কামাল হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল অভি এর কথা। নারায়নগঞ্জের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি (এসবি অ্যান্ড এমডি) কোর্সের শেষ বর্ষে পড়াশুনা করছেন। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি বর্তমানে বিভিন্ন সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী প্লাটফর্ম এর সাথে বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করে যাচ্ছেন। স্বেচ্ছায় রক্তদান, ফ্রী-অক্সিজেন সেবা, ঘূর্নিঝড়সহ বিভিন্ন দূর্যোগে ত্রাণ সহায়তা সহ নানামুখী মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
করোনা কালীন সময়ে যখন, মানুষ ঘর থেকে বের হয় না, তখন তিনি অক্সিজেন সিলিন্ডার জোগাড় করে নিজ উপজেলায় পরিবারের টাকায় করোনা রোগীদের ফ্রী অক্সিজেন সেবা দিয়েছেন ও মাস্ক বিতরণ করেছেন। ঘূর্ণিঝড়ের আগে উপকূলীয় অঞ্চলে সচেতনতা বার্তা মানুষের নিকট পৌঁছানোর জন্য হ্যান্ড মাইক হাতে রাস্তায় ও নদীর পাড়ে মাইকিং করতে দেখা যায়। এছাড়াও ঘূর্ণিঝড়ে মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যেতে কাজ করেন। কোথাও আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের সাথে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করতেও দেখা যায় এই মানবিক তরুণের সরব উপস্থিতি।
উপজেলার নদীর তীরবর্তী জেলে পল্লীর শিশুদের জীবনমান উন্নয়নেও কাজ করে যাচ্ছেন। রাস্তাঘাটে কোন দূর্ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষনিক ফাস্ট এইড দিয়ে হসপিটালে নিয়ে যেতে দেখা যায় তাকে। পথ শিশুদের রঙিন স্বপ্ন দেখাতেও কাজ করে যাচ্ছেন। সিলেটের ভয়াবহ বন্যায় ঘরে বসে না থেকে ত্রাণ নিয়ে সিলেটের দক্ষিণ সুনামগঞ্জের দর্ঘাপাশা ইউনিয়নে ত্রাণ বিতরণ করেন। তিনি রক্তশূন্যতা, থ্যালাসেমিয়া, দূর্ঘটনা, সিজার, ক্যান্সারসহ বিভিন্ন অপারেশনের জন্য নিজে নিয়মিত রক্তদান করেন এবং অন্যকে রক্তদানে উৎসাহিত করে নতুন রক্তযোদ্ধা তৈরি করেন।উপজেলার কিছু স্কুলসহ বিভিন্ন জায়গায় ফ্রী ব্লাড গ্রুপিং আয়োজন করেছেন।
মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অভি জানান, নিজেকে সর্বত্র মানবিক কাজে নিয়োজিত রাখবো, নতুন ভলান্টিয়ার তৈরি করে সমাজকে মানবিক ও সচেতনতার সমাজ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি। অসহায়, ভূমিহীন ও ভবঘুরে মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করতে চাই।