বিয়ের প্রলোভনে এক গৃহবঁধুকে একাধিক বার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আইয়ুব আলী (৩৩) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১৫ নং দেবীপুর ইউনিয়নের কালেশ্বরগাঁও আর্দশ গুচ্ছ গ্রামে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দেবীপুর ইউনিয়নের কালেশ্বরগাঁও খলিফাপাড়া গ্রামের আজিজুর হকের ছেলে আইয়ুব আলী (৩৩) পাশ্ববর্তী আর্দশ গুচ্ছ গ্রামের কাঁচামাল ব্যবসায়ী রহিমউদ্দীন এর বাড়ীতে কৃষি জমি আবাদের বিষয় নিয়ে প্রায় যাতায়াত করতো। একদিন সুযোগ বুঝে রহিমউদ্দীন এর স্ত্রীকে অনৈতিক সম্পর্কের প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখ্যান করেন রহিমদ্দীনের স্ত্রী।
এভাবে বারবার অনৈতিক সম্পর্কের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায়। স্বামী ও সন্তানদের মেরে ফেলার হুমকি দেন আইয়ুব আলী। একপর্যায়ে উপায় না পেয়ে গৃহবঁধুকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন আইয়ুব আলী।
স্থানীয়রা জানান, গত মাসের ২২ তারিখে সন্ধ্যার সময় রহিম উদ্দীনের বাড়ীতে চিৎকার শুনতে পাওয়া যায়। তাৎক্ষনিক তার বাড়ীতে গিয়ে দেখা যায় আইয়ুব আলী পালিয়ে যাচ্ছে।
পরে জানতে পারি আইয়ুব এর সাথে রহিমউদ্দীন এর বউ এক ঘরে ছিলো। বিষয়টি দেখতে পাওয়ায় রহিমউদ্দীন চিৎকার দেয়। আমরা এলাকাবাসী সুষ্ঠতদন্তের মাধ্যমে আইয়ুব আলীর বিচার চাই।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ঘটনাটি সত্য কিন্তু এরা গরীব মানুষ হওয়ায় ন্যায্য বিচার পাচ্ছে না। আইয়ুব আলী প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলে না।
ভুক্তভোগীর স্বামী রহিউদ্দীন জানান, আমি কিছু যাবত অসুস্থ। এই সুযোগে আমার বউকে ভয়ভীতি ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আইয়ুব আলী ধর্ষণ করেছে। বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি কোন গুরুত্ব দেননি। আমরা কোথাও বিচার পাচ্ছি না। বিভিন্ন ভাবে আমাদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। আমরা গরীব হওয়ায় কেউ আমাদেরকে সহযোগিতা করে না। তাই এতোদিন ধরে কোন বিচার পাইনি। আমি প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচার চাই।
ভুক্তভোগী গৃহবঁধু জানান, আমার স্বামী অসুস্থ। সে একটা ছোট ব্যবসা করে। সকালে বের হলে রাতে আসে। বাড়ীর পাশে আইয়ুব আলীর আবাদি জমি থাকায় প্রায় আমাদের বাড়ীতে আসতো। একদিন সুযোগ বুঝে আমাকে অনৈতিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয় কিন্তু আমি তা প্রত্যাখ্যান করি। এভাবে বারবার প্রস্তাব দেয়। একপর্যায়ে আমি রাজি না হলে আমার স্বামী ও সন্তাদের মেরে ফেলার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায়। সে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। বিষয়টি চেয়ারম্যানকে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি। আমরা গরীব হওয়ায় কেউ আমাদের পাশে নেই। আমি প্রশাসনের কাছে বিচার চাই।
অভিযুক্ত আইয়ুব আলী বলেন, অভিযোগটি সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। রহিমউদ্দিন এর সাথে এবং তার বউয়ের সাথে মাঝে মধ্যে ফোনে কথা হতো ব্যবসায়ীক বিষয় নিয়ে। আমাকে পরিকল্পিত ভাবে ফাঁসানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে দেবীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, আমার কাছে ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ করেছিলো। আমি তাদের থানায় যেতে বলেছি।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভীরুল ইসলাম জানান, অসুস্থ স্বামীকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে গৃহবঁধুকে ধর্ষণের কোন অভিযোগ আমরা পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts sent to your email.