Site icon MIssion 90 News

সিকিমে বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার প্রচন্ড গতিতে ধেয়ে আসছে পানি, ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা

সিকিমে বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার প্রচন্ড গতিতে ধেয়ে আসছে পানি, ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা

লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
তিস্তার উজানে ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা অংশে। সিকিমের সেই অংশে বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায়   প্রচন্ড গতিতে বাংলাদেশ অংশে ধেয়ে আসছে পানি। এতে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৫০ সে.মি. উপর দিয়ে পানি প্রবাহ হয়ে ভয়াবহ বন্যার শঙ্কার কথা জানিয়েছেন বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।  

ফলে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন আতঙ্কিত তিস্তাপাড়ের বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে ও সার্বিক প্রস্তুতি নিতে সকলকে আহবান জানিয়েছেন ।

বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্য জানায়,  ভারতীয় সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন (CWC) এর তথ্য অনুযায়ী, ভারতের উত্তর সিকিম এ তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে সিকিম অঞ্চলে আগামী ৪৮ ঘন্টা ভারী বৃষ্টি পাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এছাড়াও রংপুর অঞ্চলসহ লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম এলাকায় রাত থেকেই বৃষ্টি চলছে।

এতে তিস্তার পানি আজ বুধবার (৪ অক্টোবর)  রাতে তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে ৫০ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। ফলে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা করছে লালমনিরহাট জেলাবাসী। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিস্তার পানি বিপদসীমার ৫২.০৮ সেন্টিমিটার যা বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (স্বাভাবিক ৫২.১৫ সেন্টিমিটার)।

তিস্তার বাম ও ডানতীরের নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হবে। এতে মৌসুমী ফসলসহ ক্ষেত ক্ষামারের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে সতর্কবার্তা দিয়ে বন্যা মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতির কথা জানানো হয়েছে। এছাড়াও মাইকিং করে নিরাপদ আশ্রয় নিতে ও সব রকম প্রস্তুতি নিতেও বলা হচ্ছে।

আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জি আর সারোয়ার বলেন, আমরা নদী এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মাইকিং করে ও বিভিন্নভাবে নদী এলাকার মানুষকে সচেতন করতে বলেছি। আমি সার্বিক খোজখবর নেয়া হচ্ছে। চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলের লোকজনদের পশুপাখিসহ প্রস্তুতি নিয়ে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে। যেকোন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, উজানের ভারী ঢলে তিস্তায় আবারও বন্যা দেখা দিবে। আমরা সার্বিক খোজখবর রাখছি।

Exit mobile version