রংপুরের বিনিবিনিয়া গ্রাম। পরীক্ষা শেষে কোমড় পানি পেরিয়ে বাড়ি ফিরছিল রুদ্রেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরিফা আখতার। তবে, বন্যার তুলনায় বেশি ভয় রাসেলস ভাইপারে।
ফেরার পথে আরিফা আখতার বলছিল, পানির কারণে রাসেলস ভাইপার তো আসতেই পারে। তাই অনেক ভয় পাচ্ছি।
আরেক স্কুলছাত্রীর দাবি, তাদের এখানে দেখা গেছে রাসেলস ভাইপার। তাই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, এমন বিষধর সাপ থাকলে নির্ঘুম রাত কাটানো যাবে কীভাবে?
এই অঞ্চলে এখন বানের জলে ভোগান্তির পাশাপাশি নতুন আতঙ্ক রাসেলস ভাইপার। তিস্তার পানিতে প্লাবিত রংপুরের চর ও নিম্নাঞ্চল। তাতে ডুবে গেছে অসংখ্য বাড়িঘর। বাকি নেই ঝোপঝাড়ও। বাসিন্দাদের দিন কাটছে বিষধর এই সাপের ভয়ে। সন্তানদের নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকদের কাটছে নির্ঘুম রাত। সাথে রয়েছে পানিবাহিত রোগ আর বিষাক্ত পোকামাকড়ের আতঙ্ক।
কয়েকজন বাসিন্দা জানান, পানিতে করে যদি পোকামাকড় ঘরের মধ্যে ঢুকে যায়, তাই রাতে তাদের ঘুম আসে না। এলেও ভয়ে ঘুম ভেঙে যায়। আর এখন রাসেলস ভাইপার নিয়ে সংবাদ দেখায় এ নিয়েও শঙ্কায় রয়েছেন তারা।
এদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার উপরে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts sent to your email.