Site icon MIssion 90 News

পাবনায় ডলি সায়ন্তনী ও পাঞ্জাব আলীর ভোট বর্জন

হোসেনপুরে ড্রাম ট্রাক বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

পাবনার দুটি আসনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন দুই প্রার্থী। তাঁরা হলেন- পাবনা-২ আসনের (সুজানগর-বেড়ার একাংশ) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) প্রার্থী কন্ঠশিল্পী ডলি সায়ন্তনী এবং পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস। কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়া, জাল ভোট ও জোরপূর্বক নৌকায় ভোট দেওয়াসহ নানা অভিযোগে রবিবার (৭ জানুয়ারি) ভোটপ্রধান শেষের এক ঘণ্টা আগে তাঁরা সাংবাদিকদের কাছে এ ঘোষনা দেন। লিখিতভাবে তাঁরা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছেও তারা এ সিদ্ধান্ত জমা দেবেন।

পাবনা-২ আসনের নোঙর প্রতীকের প্রার্থী ডলি সায়ন্তনী বলেন, ‘আমার এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। ভোটারদের নৌকা প্রতীকের মার্কার সিল দিয়ে ভোট দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। আমি নিজে হাতে কয়েকটা ধরেছি। প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে অভিযোগ‌ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। এরপর ভোট বর্জন করেছি।’

এর আগে ভোটগ্রহণ শুরুর পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ডলি নিজের ফেসবুক পেজে লাইভে এসে অভিযোগ করে বলেন, ‘সুজানগরের অধিকাংশ কেন্দ্রে ভোটারদের হাতে নৌকা প্রার্থীর ছবি ও প্রতীক সম্বলিত কাগজ দেওয়া হচ্ছে। ভোটাররা সেই কাগজ হাতে কেন্দ্রে আসছেন। কেন্দ্র থেকে স্থানীয় গ্রামপ্রধানরা তাঁদের নৌকায় ভোট দিতে বলছেন।

একই সঙ্গে প্রকাশ্যে ব্যালট পেপার ভাঁজ করতে বলছে। সুজানগরের মোহাম্মদদীয়া দাখিল মাদরাসা, মানিকহাট, সুজানগর পৌর এলাকার অধিকাংশ এলাকায় নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরা জাল ভোট দিচ্ছেন। জোর করে ভোট কেটে নিচ্ছেন। নোঙর মার্কার এজেন্টদের বের করে দিচ্ছেন।’

অন্যদিকে পাবনা-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস বলেছেন, ‘ভোটে কারচুপি, এজেন্ট নিয়োগে বাঁধা এবং জাল ও অবৈধ ভোট প্রদানের অভিযোগে আমি এই ভোট বর্জন করেছি।

এ ব্যাপারে পাবনা-২ আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সুখময় সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমার কাছে উনি (ডলি সায়ন্তনী) কোনো অভিযোগ দেননি। অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে ভোট হচ্ছে। কোনো অনিয়ম হচ্ছে না। উনি অভিযোগ দিলে তদন্ত করে দেখা হবে।’

এ ছাড়া পাবনা-৪ আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সুধীর কুমার দাস বলেন, ‘শুনেছি তিনি (পাঞ্জাব আলী) অভিযোগ তুলেছেন। তবে আমার কাছে কোনো অভিযোগ করেননি।’

এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামানের ফোনে যোগাযোগ করা হলেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Exit mobile version