নওগাঁ

আত্রাই গুড়নই সিনিয়র মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার ও সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ

নওগাঁর আত্রাই উপজেলার গুড়নই সিনিয়র মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার ও সভাপতির বিরুদ্ধে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ বাণিজ্য, অনিয়ম, দূনীর্তি ও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানে স্বেচারিতা করে ৪টি পদে নিয়োগের নামে প্রায় ৫০ লাখ টাকার নিয়োগ এবং চাকরি দেওয়ার নামে বিপুল পরিমান টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এসব অনিয়ম নিয়ে প্রতিবাদ করায় চাকরি প্রত্যার্শী ভূক্তভোগীদের নানা রকম হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অনিয়ম নিয়ে  প্রতিবাদ করায় চাকরি প্রত্যার্শী ভূক্তভোগিদের হয়রানি করারও অভিযোগ উঠেছে সভাপতির ও ভারপ্রাপ্ত সুপারের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ সূত্রেও সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত জুন মাসের ২৪ তারিখে শনিবার অধ্যক্ষ, উপ-অধ্যক্ষ, কম্পিউটার ল্যাবঃ এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই চারটি পদে ৩৪ জন অংশ গ্রহন করেন। যে চারজন নিয়োগ পেয়েছেন তাদের কাছ থেকে ৪৫ লাখ টাকার নিয়োগ বানিজ্য করেছে বলেল অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় গুড়নই সিনিয়র মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির ছাত্র অবিভাবক সদস্য মোস্তফা কামাল বলেন, মাদ্রাসার নিয়োগ বিষয়ে ভার প্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো: আবুল কালাম আজাদ ও সভাপতি মো: বেদারুল ইসলাম পরিচালনা কমিটির সাথে কোন আলোচনা করেন নাই। ভার প্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও সভাপতি সাহেব অতি গোপনে যোগসাজসে এ নিয়োগ সম্পন্ন করেন। টাকা পয়সা লেনদেন বিয়য়ে আমরা কিছু জানি না।

গুড়নই গ্রামের কম্পিউটার ল্যাবঃ পদে একজন প্রার্থীর অবিভাবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমার মেয়েকে ওই পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা  সভাপতি বেদারুল ইসলাম গ্রহন করে তা পরে ফেরত প্রদান করে বেশি টাকার বিনিময়ে আরিফুল ইসলামকে নিয়োগ পত্র দেয়া হয়েছে।

ভূক্তভোগী পরিচ্ছন্নতা কর্মীর বিধবা মাতা বলেন, এই মাদ্রাসায় আমার স্বামী পিয়নের চাকরি করতেন তিনি মৃত্যু বরণ করেছেন তবুও আমার মেয়ের চাকরির  জন্য বোর্ড খরচ বাবদ  ৮০/ ৯০ হাজার টাকা নিয়েছেন সভাপতি ও ভার প্রাপ্ত অধ্যক্ষ।

স্থানীয় বাসিন্দা মো: সাইফুল ইসলাম, সাহাদতহোসে ও আরমান বিশ্বাস বলেন, এই মাদ্রাসার নিয়োগ বাণিজ্য হয়েছে যাহা ইতি পূর্বে কোনদিন হয় নাই। আমরা হতবাক হয়েছি। শুধু নিয়োগ বানিজ্য দিয়ে ক্ষান্ত হন নাই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও সভাপতি সাহেব মাদ্রাসার বাউন্ডারির মধ্যে বাঁশ ঝাড়ের বাঁশ গুলো গোপনে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সাথে আলোচনা ছাড়াই বিক্রি করে বিক্রয় কৃত টাকা গুলো র্আত্নসাৎ করেছেন।

এবিষয়ে মাদ্রাসার সভাপতিকে খোঁজ করে পাওয়া যায় নাই। তার বাসায় গিয়ে দেখা যায় গেটে তালা ঝুলানো আছে। পরে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিককে বলেন, আমি ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি নই।

অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাহেব বলেন, আমি নিয়োগ বিষয়ে যাহা করেছি তাহা সভাপতি সাহেবের সাথে ও তার নিদ্দেশে এবং পরমর্শে নিয়োগ প্রক্রিয়া মাফিক করেছি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গুলো সঠিক নয় ও সত্য নয়।

এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে জানতে চাইলে অফিস কর্তৃপক্ষ বলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বদলী হওয়ার কারনে আমরা কিছু বলতে পারবো না।

এ বিষয়টি নিয়ে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঞ্জিতা বিশ্বাস বলেন, এই নিয়োগ পরীক্ষার সাথে ইউএনও হিসেবে আমি যুক্ত নই। এটা শিক্ষা বিভাগের বিষয়।

গুড়নই সিনিয়র মাদ্রাসার নিয়োগ নিয়ে পরিচালনা কমিটির সদস্যদের মাঝে চরম ক্ষোভ এবং এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

Author


Discover more from MIssion 90 News

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

দ্বারা
কামাল উদ্দিন টগর, নওগাঁ প্রতিনিধি

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker