১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন নওগাঁর ৩৬ জন
মেধা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে নিয়োগ; দালালচক্রের ৩ সদস্য আটক
‘সেবার ব্রতে চাকরি’—এই প্রতিপাদ্যে মেধা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পেয়েছেন নওগাঁ জেলার ৩৬ জন তরুণ-তরুণী। মাত্র ১২০ টাকার সরকারি ফি জমা দিয়েই স্বপ্নের চাকরি পেলেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাতে নওগাঁ পুলিশ লাইন্সের ড্রিল শেডে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগ পরীক্ষার প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা টিআরসি নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি ও নওগাঁর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার। এসময় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান তিনি।
নিয়োগ বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, শারীরিক যোগ্যতা, কাগজপত্র যাচাই ও শারীরিক সক্ষমতা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৪৪৫ জন প্রার্থীর মধ্য থেকে লিখিত পরীক্ষায় পাস করেন ৬৯ জন। পরে মৌখিক ও মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন তারা। চূড়ান্ত যাচাই শেষে ৩৬ জন প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে নিয়োগের জন্য নির্বাচিত করা হয়।
পুলিশ সুপার ফলাফল ঘোষণার সময় বলেন,
নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শতভাগ স্বচ্ছতা ও যোগ্যতা অনুসরণ করা হয়েছে। কোনো ধরনের তদবির বা ঘুষ ছাড়াই যারা উত্তীর্ণ হয়েছেন, তারা প্রকৃত অর্থেই গর্বিত হওয়ার মতো একটি অর্জন করেছে।
তিনি উত্তীর্ণদের উদ্দেশে বলেন,
সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দেশসেবায় নিজেদের নিয়োজিত রাখবে—এই প্রত্যাশা করি।
নিয়োগ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজা শারমিন নেলি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এএমএম ওয়াসিম ফিরোজ সহ টিআরসি নিয়োগ বোর্ডের অন্যান্য সদস্যরা।
এদিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় প্রতারণার অভিযোগে তিনজন দালালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ সুপার জানান, এ চক্র চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা চুক্তি করেছিল। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা, চুক্তিনামা, ব্যাংকের চেকসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রতারণার অভিযোগে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।