সরিষাবাড়ীতে সংক্রান্ত বিরোধে মারা’মারি, একই পরিবারে আহত-৩
জামালপুরে সরিষাবাড়ীতে এওয়াজকৃত জমি নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে মারামারি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয় চার জন এবং একই পরিবারের ৩ জন আহত হয়েছে।
গত শুক্রবার বিকালে উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের চর গাছ বয়ড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকালে ভুক্তভোগী পরিবার সাংবাদিকদের অভিযোগ করে এমন ঘটনার বিষয়ে জানান।
আহতরা হলেন- আঃ সালাম (৬০), সুমন মিয়া (২৮), ফরিদা বেগম (৪৫) ও অভিযুক্ত জিয়াউল হক জিয়া (৫৫)। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত ও স্থানীয়দের সুত্রে জানা যায়, চর গাছ বয়ড়া গ্রামের মৃত মোকাদ্দেস আকন্দের দুই ছেলে আঃ সালাম ও জিয়াউল হকের মধ্যে বেশ কিছু দিন যাবত এওয়াজকৃত জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। শুক্রবার জুম্মার পর জিয়াউল হক পরিকল্পিতভাবে পরিবারের লোকজন নিয়ে ওই জমিতে হাল দিতে যায়। এতে হাল দিতে বাধাঁ দেয় আঃ সালাম। তখন জিয়াউল উত্তেজিত হয়ে আমাকে মারধর করে শুরু করে। ডাকচিৎকারে বাড়ির থেকে সুমন মিয়া ও তার মা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মেরে রক্তাক্ত করে। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।
আহত আঃ সালাম বলেন, ‘আমার কেনা সাড়ে ৪ শতাংশ ফসলি জমি চাচার সাথে রেওয়াজ বদল করে ছোট ভাই জিয়াকে ওখান থেকে ২ শতাংশ জমি দেই। পরে ছোটভাই জিয়া সেই জমির পরিবর্তে আমাকে বাড়ীর উত্তর পাশে ২ শতাংশ জমি চাষাবাদ করতে দেয়। এর কিছুদিন পর তার সেই জমি সে ফেরত নিয়ে নেয়। পরে আমার জমি ফেরত চাইলে সে দিতে অস্বীকার করে। এই নিয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিশ বিচার হলেও সে বিচার মানতে রাজি নয়।
আঃ সালামের আহত স্ত্রী ফরিদা বেগম বলেন, ‘জিয়া অন্যায়ভাবে আমাকে, আমার ছেলে ও স্বামীকে মারধর করেছে। আমি এর বিচার চাই।
স্থানীয় মুরুব্বি গাজীউর রহমান বলেন, তাদের এই জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে এলাকায় ১০-১৫ টি সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সালিশ বৈঠকে জিয়া বিচার মেনে নিলেও। পরে সে মানে না। এভাবেই চলে আসছে দীর্ঘদিন যাব।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তাদেরকে মারধর করিনি। তারাই আমাকে মারধর করেছে। জমি সংক্রান্ত বিরোধের সালিশ বিচার আমি মানলেও আব্দুল সালাম মানতে চায় না। সে কাগজপত্র না দেখেই মৌখিক হিসাবেই জোরপূর্বক জমি নিতে চায়।
এ-বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ চাঁদ মিয়া বলেন, এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।