সরিষাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় যমুনা নদীর বুকে জেগে উঠা চরাঞ্চলের প্রায় দুই হাজার একর জমি ভূমিহীনদের নাম ভাঙ্গিয়ে দখল করে নিচ্ছেন প্রভাবশালী মহলের একটি চক্র।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকালে কাজিপুর উপজেলার মনসুর নগর ইউনিয়নের শালদহ গ্রাম সহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় শতাধিক ভুক্তভোগী এমন ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ করে সাংবাদিকদের জানান।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, মনসুর নগর ইউনিয়নের শালদহ, বামরামারি, মাজনাবড়ী ও মৈহাপুর মৌজার প্রায় দুই হাজার একর জমি যমুনার চরাঞ্চলে জেগে উঠে। প্রভাবশালী একটি চক্র ভূমিহীনদের নাম ভাঙিয়ে সেই সব জমি একের পর এক দখল করে নিচ্ছেন। কেউ করছেন ঝুপটি ঘর তুলে দখল আবার কেউ করছেন লাঠি বা লাঙল দিয়ে দখল। এতে বঞ্চিত হচ্ছে নদী ভাঙ্গা অসহায় প্রকৃত জমির মালিক ও তাদের সন্তানরা। এমন ঘটনায় প্রকৃত জমির মালিকরা জমি ফিরে পেতে প্রশাসনে সহযোগীতা কামনা করছেন।
ভুক্তভোগী শাহিন আলম, ইব্রাহিম মিয়া সহ অনেকেই বলেন, আমাদের বাব-দাদার সম্পত্তি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছিল। এখন চর জেগেছে অথচ সেই জমি ভূমিহীন না হয়েও ভূমিহীন সেজে জোর করে দখল করে নিচ্ছে। শালদহ গ্রামের ইলাহির ছেলে গনি গোয়াল, গনি গোয়ালের ছেলে জামিল গোয়াল, বাসেদ মিয়া ও হবি মেম্বর সহ তাদের লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে দখল করে নেয়ার পাঁয়তারা করছে এবং আমাদেরকে জমিতে না যাওয়ার ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত জামিল গোয়ালের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘আমরা কারো জমি দখল করি নাই। আমরা কেন অন্যের জমি দখল করতে যাবো। ওখানে আমাদেরও বাপ-দাদার জমি আছে। সেই জমিতেই আমরা ঘর তুলেছি।
এ-ব্যাপারে মনসুর নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক রাজমহর বলেন, ‘শালদহ গ্রামে নদীতে জেগে ওঠা জমি কোন ক্ষমতার জোরে তারা দখল করতে চাচ্ছেন সেটা বলা কঠিন। আসলে ওদের ওইসব জমির কোনো কাগজ পত্র নাই। তারা ভূমিহীনদের নাম ভাঙিয়ে পর্যায়ক্রমে দখল করছেন।
এ-বিষয়ে কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরে আলম বলেন, ‘জমি দখলের কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে আসে নাই। নাটুয়ারপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি দিয়েছে কিনা অবোগত নয়। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts sent to your email.