প্রতিনিয়ত বিভিন্ন নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ৬নং ভাটারা ইউনিয়নবাসী। গত ৫ আগস্ট আ’লীগ সরকার পতনের পর থেকে ইউপি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন বাদল পরিষদ কার্যক্রম থেকে বিচ্ছেদ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারন মানুষ। তাই নাগরিক সেবা দিতে প্যানেল চেয়ারম্যান গঠনের মাধ্যমে পরিষদ কার্যক্রম চালানোর দাবি জানিয়েছেন ইউপি সদস্যরা।
ইউপি সদস্য ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, বোরহান উদ্দিন বাদল ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান। আ’লীগ সরকারের পতনের পর তিনি পরিষদ ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও একাধিক হত্যা মামলা। গত ২২ সেপ্টেম্বর বোরহান উদ্দিন বাদলের শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন। এদিকে চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন প্রায় দেড় মাস যাবত পরিষদের কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করে না। এতে শুরু হয় সাধারন মানুষের ভোগান্তি। জন্মসনদ, নাগরিক সনদ, মৃত্যু সনদ, ট্রেড লাইসেন্সসহ বিভিন্ন নাগরিক সেবা হতে চরম বিপাকে পড়েছেন ইউনিয়নবাসী। এতে নানা মুখী প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে ইউপি সদস্যরা। মানুষের ভোগান্তি কাটাতে এবং পরিষদের কার্যক্রম সচল করতে নতুন প্যানেল চেয়ারম্যান গঠন করে একজনকে দায়িত্ব প্রদানের জন্য ইউএনও বরাবর স্মারক লিপি দিয়েছেন ৯ জন ইউপি সদস্য।
পরিষদে সেবা নিতে আশা দুলাল মিয়াসহ অনেকেই জানান, ১৫ দিন যাবত মেয়ের একটি জন্মসনদ নিতে এসে বার বার ফিরে যাচ্ছি। চেয়ারম্যান সাক্ষর ছাড়া কাগজ নিতে পারাচ্ছি না। তারা বলছেন কাউকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিলে আমাদের সবার ভোগান্তি কমে যাবে। সঠিক সেবা নিতে পারবো আমরা।
এ-ঘটনায় ইউপি সদস্য আনিছুর রহমান, ফরহাদ হোসেন, জহুরুল ইসলাম, রাজা, বেলাল খান, মোস্তাফিজুর রহমান, আব্দুল মজিদ, আছিয়া বেগম, হ্যাপী আক্তার বলেন, চেয়ারম্যান তার রাজনৈতিক অপকর্মের জন্য পরিষদে আসে না। এতে জনগণ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে নতুন প্যানেল চেয়ারম্যান গঠন করে পরিষদের কার্যক্রম চালানোর দাবি জানিয়েছি এবং ইউএনও কাছে এর লিখিত আবেদন করা হয়েছে।
এ-বিষয়ে ইউপি সচিব সাজেদুল ইসলাম জানান, ১ মাস যাবত ভাটারা পরিষদে দায়িত্বে আছি। কিন্তু একদিনও চেয়ারম্যানকে পরিষদে আসতে দেখিনি। চেয়ারম্যানে অনুপস্থিতে নাগরিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে।
এ-ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, নাগরিক সেবার মান ঠিক রাখতে প্যানেল চেয়ারম্যান পরিষদ গঠনের জন্য ৯জন মেম্বারের সাক্ষরিত একটি আবেদন পেয়েছি। বিষয়টি জেলা প্রশাসকে জানানো হবে।