জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে যুবলীগ নেতার ছুরিকাঘাতে ছাত্রদলের নেতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে সরিষাবাড়ী থানায় রাতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের মালিপাড়া এলাকার প্রাইমারী স্কুল মাঠে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত ছাত্রদলের নেতা রাকিব হাসানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, আহত রাকিব হাসান (২৫) পোগলদিঘা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদের ছেলে এবং ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এদিকে একই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য কহিনুর এর ভাতিজা যুবলীগের নেতা ফরিদ মিয়া (৪০)।
গত রবিবার সকালে যুবলীগ নেতা ফরিদ মিয়া মালিপাড়া বিদ্যালয় মাঠে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দ্যেশে গালিগালাজ করে এবং হামকি-ধামকি করতে থাকে। এসময় ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান বিষয়টি শুনতে পেয়ে গালিগালাজ বন্ধ করে শান্ত থাকার অনুরোধ করে। এতে যুবলীগ নেতা ফরিদ মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে রাকিবের ওপর হামলা করে এবং পেটে ছুরিকাঘাত করে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সরিষাবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। আহতের ভাই রতন মিয়া বাদী হয়ে রাতেই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাত্রদল নেতা রাকিব বলেন, আ’লীগের শাসন আমলে ফরিদ মিয়া এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে বেড়াতো। অহেতুক সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন করতো। এখনো বিএনপিসহ সাধারণ মানুষকে বকাবকি করে। এসব নিষেধ করায় তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে পেটে আঘাত করে।
এ ঘটনায় ইউপি সদস্য কহিনুর মেম্বার জানান, মারামারি বিষয়টি তিনি জানে না। তবে রাকিব এবং ফরিদ দুজনের মধ্যে কিছুদিন আগে মাজারের বিষয় নিয়ে কোন বির্তক থাকতে পারে। ভাতিজা ফরিদ আমার কোন নিষেধ মানে না। অপরাধ করলে তার শাস্তি হবে। অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা ফরিদ মিয়া ঘটনার পর থেকে এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন।
এ-ব্যাপারে ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক মামুনুর রশীদ ফকির অভিযোগ করে বলেন, ‘স্থানীয় যুবলীগের কর্মীরা এখনো এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে চাচ্ছে। হত্যার করার উদ্দ্যেশে ছাত্রদলের এক নেতার পেটে ছুরিকাঘাত করেছে। দোষীদের শাস্তির দাবি করেন তিনি।
এ-বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার এস আই রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ছুরি দিয়ে আঘাতের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
