প্রাণ প্রকৃতি রক্ষা ও সংরক্ষণে অবদান রাখায় – জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেছেন অধ্যাপক হাসমত
সারাজীবনের অর্জিত সম্পদ ব্যয় করে বসতবাড়ির ৪ একর জমির উপর প্রাণ প্রকৃতি রক্ষায় প্রজাতির পার্ক, ৬ শতাধিক প্রজাতির দেশি বিদেশি দুর্লভ গাছের দ্বিজেন শর্মা উদ্যান, প্রাণ প্রকৃতি পাঠাগার, সংরক্ষণের জন্য হার-বেরিয়াম ও বন্য পাখির অভয়ারণ্য তৈরি করেছেন – জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার দৌলতপুর গ্ৰামের আবদুল্লাহ এর সন্তান মো: হাসমত আলী। বর্তমানে তিনি আলহাজ ফরহাদ আলী মেমোরিয়াল কলেজ (কাজীপুর, সিরাজগঞ্জ) বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত আছেন।
মানবসৃষ্ট কারণে প্রকৃতি প্রতিনিয়ত ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে, জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। বিরুপ প্রভাব পড়ছে পরিবেশ ও মানুষের উপর তাই পরিবেশের ভারসাম্য ও আগামী প্রজন্মকে প্রকৃতি রক্ষায় সচেতন ও অনুপ্রেরণা দিতে প্রাণ প্রকৃতি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
প্রকৃতি রক্ষায় তার নেওয়া উদ্যোগ নিয়ে স্বপ্নের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার নিজস্ব জমিতে, নিজ অর্থায়ণে করেছি। উদ্যোগগুলোকে গতিশীল করতে ‘প্রাণ-প্রকৃতি সংরক্ষণ ফাউন্ডেশন’ তৈরি করছি। আমার মৃত্যুর পরেও যেন ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে যুগ যুগ ধরে কার্যক্রম চলতে থাকে।
তিনি আরো বলেন, এখানে এসে দর্শনার্থী, বৃক্ষ প্রেমিক, বৃক্ষ গবেষকগণ যেন উপকৃত হতে পারেন। এখনকার বীজ ও চারার মাধ্যমে গাছ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়লে তবেই আমি নিজেকে স্বার্থক মনে করব।
এখানে নিসর্গী প্রকৃতিবিদ ‘দ্বিজেন শর্মা’ নামে একটি উদ্ভিদ উদ্যান তৈরি করা হয়েছে। প্রজাপতি বাগানের উদ্ভিদ প্রজাতিসহ প্রায় ৬০০ প্রজাতির উদ্ভিদকে সংরক্ষণ করা হয়েছে। দেশি বিদেশি যে গাছগুলো রোপণ করা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য-কানাইডিঙ্গা, বৈলাম, উরিআম, কুরচি, কন্যারি, মা
উদ্যান দেখতে প্রতিনিয়ত দেশের বিভিন্ন জায়গায় থেকে ছুটে আসেন প্রকৃতিপ্রেমী ও দর্শনার্থীরা।
প্রাণ প্রকৃতি রক্ষা ও সংরক্ষণে জন্য পেয়েছেন জাতীয় পদকসহ নানা পুরষ্কার। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য: বৃক্ষ গবেষণা, সংরক্ষণ ও উদ্ভাবন ক্যাটাগরিতে (জাতীয় পুরস্কার ২০২৩) এবং প্রজাপতি গবেষণা ও সংরক্ষণের জন্য জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ (ব্লাটারফ্লাই অ্যাওয়ার্ড ২০২৩) অর্জন করেন।