সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা: মুরাদ হাসান এমপির পিতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য, জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মতিয়র রহমান তালুকদারের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী সরিষাবাড়ীতে পালন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকালে এডভোকেট মতিউর রহমান তালুকদার স্মৃতি সংসদের আয়োজনে সরিষাবাড়ি উপজেলার আওনা ইউনিয়নের দৌলতপুর এলাকায় নিজ বাড়ীতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এই উপলক্ষে কালোব্যাচ ধারণ এবং মরহুমের সমাধিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ ও কবর জিয়ারতের মাধ্যমে মরহুমে আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। এছাড়াও দিনব্যাপী কোরআনখানী, এতিম শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ, মরহুমের নিজবাড়ির দৌলতপুর মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এ-সময় মরহুমের কবর জিয়ারত ও সমাধিতে পুষ্পাঞ্জলী অর্পনে অংশ নেন উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ ও সামাজিক বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। এতে উপস্থিত ছিলেন- মতিয়র রহমান তালুকদারের কনিষ্ঠ সন্তান সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ডা: মুরাদ হাসান, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আলহাজ্ব ছানোয়ার হোসেন বাদশা, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন পাঠান, সাবেক চেয়ারম্যান আজমত আলী মাস্টার, বীর মুক্তিযুদ্ধা এমএ লতিফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান লুলু, যুবলীগের সাধারন সম্পাদন রনি, এডভোকেট মতিউর রহমান তালুকদার স্মৃতি সংসদের সভাপতি আব্দুর রহিম, সাবেক পৌর কাউন্সিলর কালাচাঁদ পাল, পৌর কাউন্সিল সাখাওয়াত আলম মুকুল সহ বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ ও সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।
উল্লেখ্য; তিনি ১৯৭৭ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি নীতি ও মুজিব আদর্শে ছিলেন অটুট। রাজনীতি অঙ্গন ছাড়াও সামাজিক সংগঠনেও ভূমিকা ছিল অপরিসীম। তিনি ছিলেন, সরিষাবাড়ী কল্যাণ ও অন্ধ কল্যাণ সমিতির সভাপতি। জামালপুর ‘মহকুমা রেডক্রিসেন্টে’র সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি দীর্ঘদিন। প্রতিবাদ, প্রতিরোধে নিজে সামনে সারিতে থেকে জানান দিয়েছেন আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করা যাবে না। ২০০৮ সালের ১৬ জুলাই অনেকটা অভিমান নিয়েই এই অসাম্প্রদায়িক, মুক্তচিন্তার অধিকারী বীর সেনা নিজের দল, দেশ ও স্বজনদের ছেড়ে এই চিরতরে পৃথিবী থেকে চলে যায় না ফেরার দেশে।