জীবন টাই নষ্ট করে দিছে মহসীন! আমার নতুন সংসারটাও ভেঙে দিয়েছে। সমাজে মুখ দেখাবো কিভাবে। এখন বিয়ে না করলে ‘আত্মহত্যা’ ছাড়া আর কোন পথ নেই আমার।
বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করা সূচি আক্তার নামে এক তরুণী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ ঘটনায় ৮দিন যাবত প্রেমিক ‘মহসীন’ লাপাত্তা।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের সুত্রে জানা যায়, জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের চাপারকোনা গ্রামের মৃত খোকা মিয়ার ছেলে মহসীন মিয়া (২৮)। তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে পোগলদিঘা ইউনিয়নের পুঠিয়ারপাড় গ্রামের শহিদ মিয়া মেয়ে সূচি আক্তারের। ছোট থেকেই সূচি আক্তার চাপারকোনা গ্রামে ফুফুর বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করেন।
সেই সূত্রে একই গ্রামের মহসীন মিয়ার সাথে প্রেম সম্পর্ক গড়ে উঠে। দীর্ঘদিন সম্পর্কের পর সূচিকে অন্য ছেলের কাছে বিয়ে দেন তার পরিবার। বিয়ের কিছুদিন পরে পুরনো সম্পর্ক চাড়া দেন মহসীন মিয়া। পরে কৌশলে ঐ স্বামীর বাড়িতে থেকে সূচিকে নিয়ে (গাঁ ডাকা) দেন মহসীন। পরবর্তীতে বন্ধুর সহযোগীতায় ফয়েজের মোড় এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস করেন তারা। বসবাসের ২মাস পার হলে সুচিকে ফেলে রেখে চলে যায় মহসীন।
পরবর্তীতে গত বুধবার (৩ জুলাই) রাতে প্রেমিক মহসীনের বাড়িতে বিয়ে দাবি নিয়ে অবস্থান করেন সূচি আক্তার। পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝতে পেরে মহসীনসহ তার পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে গাঁ ডাকা দেন।
এদিকে বিষয়টি সামাজিক ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করলেও গত ৮দিন যাবত একই পরিস্থিতি বিরাজ করছে ঐ এলাকায়। এ ঘটনায় সরিষাবাড়ি থানা পুলিশ জানতে পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ভুক্তভোগী তরুণী আরো বলেন, ‘এখন সম্পর্কের বিষয়টা অস্বীকার করছেন মহসীনের পরিবার। তারা সবাই বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। মহসীন এখন ফোন দিয়ে বলে দেড় লক্ষ টাকা দিবো বাড়ি থেকে চলে যাও। কিন্তু টাকা নয়, সম্মান নষ্টের প্রতিবাদে আমাকে বিয়ে করতে হবে। আমি এখন মহসীনের দাদীর আশ্রয়ে এখানে আছি। বিয়ে না হলে আমি ‘আত্মহত্যা’ করবো।
এ ঘটনায় মহসীনের বাড়ির প্রতিবেশীরা জানান, ‘সম্পর্কের নামে এমন করা ঠিক হয়নি তার। এখন উচিৎ তাকে সম্মান দিয়ে বিয়ে করা। এ-বিষয়ে অভিযুক্ত প্রেমিক মহসীনের সাথে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেনি।
এ-ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার (ওসি) মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি, তবে এ ঘটনায় কোন অভিযোগ আসেনি। লিখিত কোন অভিযোগ আসলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts sent to your email.