জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও কবর স্থানের ওয়াকফু করা জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে দাওয়া পাল্টা দাওয়া সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটেছে।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের বিলবালিয়া (দোপাদহ) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে অত্যন্ত ৬ জন আহত হয়েছেন। গুরুত্বর আহতরা হলেন- মৃত হাজী সাইফুল ইসলামের ছেলে এনামুল হক (৩৬), রাশেদুল ইসলাম এবং আবু সাঈদ।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বিলাবালিয়া গ্রামের এনামুল হকের পিতা মৃত হাজী সাইফুল ইসলাম (বিলবালিয়া দুপাদহ নুরানীয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও কবর স্থানের) জন্য ১০ শতাংশ জায়গা (যাহার দাগ নং- ১৯০, খতিয়ান নং- ৬১১) ওয়াকফু করে দেন। গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে সেই জায়গাতে ভুয়া দলিলমুলে, জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করতে জান একই গ্রামের খালেক ফকিরের ছেলে মিজানুর রহমান ফকির (৩৬)। এসময় ওয়াকফু করে দেওয়া জমি দাতার ছেলে এনামুল হক (হাফেজিয়া মাদ্রাসার বর্তমান সভাপতি) এসে বাধাঁ দেয়। পরে তাদের দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়।
এক পর্যায়ে পরিকল্পিতভাবে মিজানুর ফকিরসহ তার সহযোগী কামাল ফকির (৪৫), ইদ্রিস ফকির (৫৫) সোহান মিয়া (২১) সহ ১০-১৫ জনের একটি দল লোহার রট, দা, বটি, জিআই পাই ও বাঁশের লাঠিসোটা নিয়ে এনামুল হকের উপড় হামলা চালায়। এসময় এনামুল হকের ভাইসহ অন্যান্যরা ফেরাতে আসলে তাদের কেউ এলোপাথাড়ি মারতে থাকে। এতে অত্যন্ত ৬ জন আহত হন। পরে গুরুত্ব আহতদের সরিষাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করেন।
নুরানীয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার সভাপতি এনামুল হক জানান, তার পিতা মরহুম হাজী সাইফুল ইসলামের এই জায়গা ক্রয়কৃত সম্পত্তি। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে এই জায়গা মাদ্রাসা ও কবর স্থানের জন্য ওয়াকফু করে দিয়ে গেছেন তিনি। এখন ভূয়া দলিল তৈরি করে বেআইনি ভাবে জোরপূর্বক হুমকি দিয়ে লাঠিসোটার ভয় দেখি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জমি দখল নিতে চাচ্ছেন খালেক ফকিরের ছেলে মিজানুর ফকির।
গ্রামের মাতাব্বরা (এলাকা প্রধান) বেশ কয়াক বার শালিস বৈঠক করে মিল করে দিলেও তারা মানতে রাজি হন না। শুধু তাই নয় মিজানুর আমাকে ফাঁসানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের (ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, প্রতারণাসহ) অনেক রকমের মামলা হুমকি দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত। প্রশাসনের কাছে আমি এর সঠিক বিচার চাই।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত মিজানুর ফকিরের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও সম্ভব হয়নি কথা বলা।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মীর রকিবুল হক বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তপুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts sent to your email.