আ.লীগের ষড়যন্ত্রে জাতীয়করণ থেকে বঞ্চিত সরিষাবাড়ী কলেজ: জাতীয়করণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

জামালপুরের ঐতিহ্যবাহী “সরিষাবাড়ী কলেজ” জাতীয়করণে দাবি এবং বঙ্গবন্ধু কলেজের নাম পরিবর্তন করে “সরিষাবাড়ী সরকারি কলেজ” নামকরণের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের শাসন আমলে বৈষম্যের শিকার হওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।

আজ (শনিবার, ৩১ মে) দুপুরে সরিষাবাড়ী কলেজ মিলনায়তনের হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন ও মতবিনিময় সভা করে বৈষম্যের শিকার হওয়া সরিষাবাড়ী কলেজ কর্তৃপক্ষ।

সরিষাবাড়ী কলেজ গভর্নিং বডির শিক্ষক প্রতিনিধি সহকারি অধ্যাপক খায়রুল আলম শ্যামল এর সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন কলেজের বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমিমুল এহছান শাহীন।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব আজিম উদ্দিন আহমেদ, কামরাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ আব্দুল বারিক, জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মো. জহুরুল ইসলাম পিন্টু, সাবেক ছাত্রদলের সভাপতি হাফিজুর রহমান মিলন, শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এবিএম সাইদুল হাসান শিপন, সাবেক জি.এস রবিউল ইসলাম, কলেজের সাবেক ভিপি বিকাশ চন্দ্র সাহা লিটন, শ্যামল, সরিষাবাড়ী ছাত্রদলের আহবায়ক খায়রুল ইসলাম বিদ্যুৎ, পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক সবুজ মিয়া প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, “জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলায় ১৯৬৭ সালে তৎকালীন কিছু বরেণ্য শিক্ষাবিদ ও সুধীজনের প্রচেষ্টায় প্রায় ১০.৯৪ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয় সরিষাবাড়ী কলেজ। আজ সেই কলেজের নাম, যশ, খ্যাতি বিনষ্ট করার অপতৎপরতায় একটি কুচক্রী মহল। আ.লীগের আমলে এই কলেজকে সরকারি না করে বঙ্গবন্ধু নামে একটি কলেজকে তারা সরকারি ঘোষণা করে, যেখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল মাত্র ২০০।”

তারা আরও বলেন, “এখন আবার উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের নাম পরিবর্তন করে, সরিষাবাড়ী কলেজের নামের সাথে হুবহু মিল রেখে, সরিষাবাড়ী সরকারি কলেজ নামকরণ করা হয়েছে। এতে আমরা কলেজ ও এলাকাবাসী তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

বক্তারা মূল সরিষাবাড়ী কলেজকে (সরিষাবাড়ী কলেজটি) জাতীয়করণ করার দাবি জানান। দাবি পূরণ না হলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলেও বক্তারা হুঁশিয়ারি দেন। এসময় সরিষাবাড়ী কলেজের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কলেজ ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।