জামালপুরে পর্যাপ্ত হিমাগার না থাকায় আলু সংরক্ষণ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষীরা। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আলু বোঝাই গাড়ি নিয়ে গত ৪ থেকে ৫দিন ধরে হিমাগারের সামনে অপেক্ষা করছেন পরিবহন চালক ও আলু চাষীরা। অন্যদিকে হিমাগার কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে নিষেধ করছে আলু না আনার জন্য।
আলু চাষীরা জানান, ৪/৫দিন যাবত হিমাগারের সামনে আলুর ভর্তি ট্রাক নিয়ে দাড়িয়ে রয়েছে।একদিকে গাড়িতেই পচে নষ্ট হচ্ছে এবং প্রতিদিন গাড়ির অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হচ্ছে আলু চাষীদের।
জামালপুর কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জেলায় চলতি মৌসুমে ৫হাজার ১হেক্টর জমিতে আনুমানিক ১ লাখ ২২ হাজার টনের ওপর আলুর ফলন হয়েছে।
জামালপুরের দুটি হিমাগারে সাড়ে ১১ হাজার টন আলুর ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। বিসিক আলী নুর কোল্ড স্টোরেজের ম্যানেজার বদিউল আলম জানান, আমাদের কোল্ড স্টোরেজে ৫ হাজার টন আলু ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। ইতিমধ্যে চাষীদের কাছ থেকে প্রায় ৮০শতাংশ আলু সংরক্ষণ করা হয়েছে।
আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে শতভাগ সংরক্ষণ হবে। নতুন আর কোনো চাষী যাতে আলু না নিয়ে আসে তার জন্য তারা পুরো জেলায় মাইকিং করা হচ্ছে।
চলতি বছর সরকার হিমাগারে ৬ টাকা ৭৫ পয়সা প্রতি কেজি ভাড়া নির্ধারণ করে দিলেও হিমাগার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ৮ টাকা কেজি করে নেয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে।