জামালপুর

সরিষাবাড়ীতে সাঁতার প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়ে পানিতেই জ্ঞান হারালো শিক্ষার্থী

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫১তম গ্রীষ্মকালীন ‘জাতীয় ক্রীড়া’ প্রতিযোগীতা সাঁতার খেলায় পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়া অংশ নিয়ে সাঁতারের মাঝ পথে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন মোছা. শিখা খাতুন নামে এক শিক্ষার্থী। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় ঐ শিক্ষার্থীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। 

সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুরে এই সাঁতার প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। সাতারে অংশ নেওয়া ঐ শিক্ষার্থী সালেমা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। 

জানা যায়, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে চলতি বছর গ্রীষ্মকালীন ‘জাতীয় ক্রীড়া’ প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়। ভ্যেনু মোতাবেক রিয়াজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় পুকুরে ১০০মিটার সাঁতার প্রতিযোগীতার আয়োজন করেন। প্রতিযোগীতায় ১২টি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করে। এর মধ্যে অংশ নেন সালেমা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শিখা খাতুন। এসময় সাঁতারে মাঝ পথে গিয়ে হাফিয়ে পড়েন এবং একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ঐ শিক্ষার্থী। পরে অবস্থানরত ফায়ার সার্ভিস টিম শিখা খাতুনকে পানি থেকে উদ্ধার করে সরিষাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান।

Image

সালেমা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মোছা. ইদুন্নেছা খাতুন জানান, ‘সাতারে অংশ গ্রহণ করার আগে অবশ্যই পূর্বপ্রস্তুতি নিতে হয়। আমাদের প্রতিষ্ঠানে এখন ফিজিক্যাল শিক্ষক নেই। যে মেয়েটা সাঁতারে অংশ গ্রহণ করেছেন সে শারীরিকভাবে অনেকটাই দুর্বল। সাঁতারের মাঝ পথে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে। ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে যায়। সাথে তার পরিবারের লোকজনও ছিলো।

এ-ঘটনায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বলেন, ‘ক্রীড়া প্রতিযোগীতা আয়োজন নিয়ে আমরা পূর্বপ্রস্তুতিমুলক সভা করেছি। সেখানে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিনিধিরা ছিলেন। আজ সাঁতার খেলায় শিখা খাতুন নামে এক শিক্ষার্থী অংশ নেন। হটাৎ সাতারে নেমে হাফিয়ে উঠে পানিতেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন ঐ শিক্ষার্থী। পরে ফায়ার সার্ভিসের টিম সঙ্গে সঙ্গে পানিতে নেমে তাকে উদ্ধার করে। 

এ-বিষয়ে সরিষাবাড়ী ফায়ার সার্ভিস টিম লিডার মো. আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘আমরা ফায়ার সার্ভিস টিম খেলাধুলার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম। হটাৎ ঐ শিক্ষার্থীটা পানিতে দুর্বল হয়ে পড়ে। তখন আমরা বুঝতে পারি সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে। সাথে সাথে পানিতে নেমে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়া সাঁতারে অংশ গ্রহণ করা ঠিক নয়। এতে বড় ধরনে দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।

এ-ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার মুঠোফোনে বলেন, ‘জাতীয় পর্যায়ে নির্দেশনা মোতাবেগ কাবাড়ি, দাবা ও সাঁতার খেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এটা উপজেলা পর্যায়ের কোন সিন্ধান্ত নয়। 

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker