বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মাদারগঞ্জ উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি ফায়েজুল ইসলাম লাঞ্জু’র নেতৃত্বে মোটরসাইকেল শো- ডাউন করা হয়েছে। সোমবার বেলা ১১ টায় উপজেলার জটিয়ারপাড়া মোড় থেকে থানামোড়, বালিজুড়ী বাজার, হাইস্কুল মোড়, উপজেলা চত্বর, গালস্ স্কুল মোড়, জুনাইল বাজার হয়ে জোড়খালীসহ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কে মোটরসাইকেল শো-ডাউন করে জানান দেন তিনি।
মোটরসাইকেল শো-ডাউন শেষে গুনারীতলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফায়েজুল ইসলাম লাঞ্জু। এ সময় উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ফখরুদ্দিন বুলবুল, পৌর বিএনপির সাবেক আহবায়ক হাবলুল গাজী বেলাল, উপজেলা বিএনপি সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান, ছাত্রদলের আহবায়ক মেহেদী হাসান টুটুল, জেলা যুবদলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সিহাব আহমেদসহ উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড বিএনপি, অঙ্গসংগঠণের নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ফায়েজুল ইসলাম লাঞ্জু বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের মাগফিরাত কামনা করছি এবং যারা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ও চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের সুস্থতা কামনা করছি। স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত দীর্ঘ ১৭ বছরে সারা বাংলাদেশটাকে একটি বৃহত্তর কারাগার বানানো হয়েছিল। শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে খুনি হাসিনার নির্দেশে হামলা হয়েছিল এবং নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে আলেম ওলামাদের। অন্যায়ভাবে মিথ্যা ষড়যন্ত্রমুলক মামলা দিয়ে কারাগারে রেখে ছিল আমাদের দেশ্যনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কে।
আমার নেতা বিএনপির এক্টিং চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নির্মম নির্যাতন করে তাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে, তিনি প্রবাস জীবন কাটাচ্ছেন। বন্ধুরা আমার গত নির্বাচনের আগে আমার বাড়ীতে একটি নির্বাচনী সভা করেছিলাম আপনারা সারা মাদারগঞ্জ থেকে এসেছিলেন ঐ রাতে খুনি মির্জা আজম যিনি ইতোমধ্যে বিডিআর হত্যাকান্ডের আসামী হয়েছেন তার নির্দেশে ঐ রাতেই আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমার মনে আছে গুনারীতলার সাতপাড়ার যারা আছেন পুলিশ আসার খবর পেয়ে আপনারা মেয়ে ছেলে নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন পুলিশ ৭ রাউন্ড গুলি করার পরও ছত্রভঙ্গ করতে পারে নাই। আমাকে অন্যায়ভাবে সাড়ে ৩ মাস জামালপুর কারাগারে রাখা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দেওয়া হয়েছে, আমি যখন জামিন পেলাম আমি অত্যন্ত ভয়ে ছিলাম এই সরকার অসংখ্য খুন করেছে গুম করেছে, হাজারো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে।
আমি যদি এলাকায় যাই হয়তো আর বেঁচে থাকতে পারবো না তাদের অত্যচারের ভয়ে আমি দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছি। মামলা হামলার কারণে আমি দেশে আসতে পারি নাই নিজের মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়েও। আমি দেশে এসেছি আমরা যারা মেলান্দহ মাদারগঞ্জে বিএনপি করি আমরা শহীদ জিয়ার সৈনিক সকলেই ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করবো। আওয়ামী লীগ যে সমস্ত কর্মকান্ড করেছে আমরা তা যেন না করি। আমি অনুরোধ করবো আমরা যেন কারো গায়ে হাত না তুলি, কারো বাড়ীতে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট এবং চাঁদাবাজি না করি। আমরা যেন কারো অসম্মান না করি। এ দেশ বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগ সবাই থাকবে। তবে কেউ অন্যায় করলে তাকে আমরা আইনের কাছে সোর্পদ করবো, আইন তাদের ব্যবস্থা নেবে। আমরা কেউ আইন হাতে তুলে নেবো না।
উল্লেখ্য যে, গত ৩০ আগস্ট আমেরিকা থেকে দেশে ফেরেন মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফায়েজুল ইসলাম লাঞ্জু। সোমবার নিজ উপজেলায় এসে প্রায় ৫ শতাধিক মোটরসাইকেলে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে শো- ডাউন করেন তিনি।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts sent to your email.