জামালপুর জেলা কারাগারে বিদ্রোহের সময় বন্দিদের মধ্যে সংঘর্ষে ৬ জন নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুর ২টার পর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত গোলাগুলি ও আগুন লাগানোর ঘটনার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। আহত হয়েছে ৪ কারারক্ষীসহ অন্তত ১৪ জন। কয়েদিদের সবাইকে নিজ নিজ সেলে ঢুকানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন জেলার আবু ফাতাহ।
নিহতরা হলেন: আরমান, রায়হান, শ্যামল, ফজলে রাব্বি বাবু, জসিম ও রাহাত।
এর আগে, বৃহস্পতিবার দুপুরে জামালপুরে কারাবন্দিরা তাদের থাকার জায়গায় আগুন দিয়ে একটি ফটক ভেঙে ফেলে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফাঁকা গুলি ছুড়তে থাকে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা গতকাল থেকে কারাগার এলাকা ঘিরে রাখে।
জেল কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃহস্পতিবার আসামিরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। তাদের একটি পক্ষ মুক্তির জন্য বিদ্রোহ করে। তারা দুই পক্ষ মারামারি শুরু করে। পরে ওই বিদ্রোহী গ্রুপ প্রথম গেট ভেঙে কারাগার থেকে বের হয়ে আসে। দ্বিতীয় গেট খুলে দেয়ার জন্য জেলার আবু ফাতাহসহ করারক্ষীদের ওপর আক্রমণ করে তারা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কারারক্ষীদের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কারাগারে অবস্থান নেন।
জেলা কারাগারের জেলার আবু ফাতাহ বলেন, কারাবন্দিরা দুইভাগে বিভক্ত হয়ে মারামারি শুরু করেন। এ সময় তারা আমাকে ও কারারক্ষীদের ওপর আক্রমণ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ ঘটনা এখন পর্যন্ত ছয় জন কারাবন্দির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই কারাবন্দিদের স্বজনরা ভিড় করছেন কারাগারের আশপাশে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা জেলা কারাগার জুড়ে নিরাপত্তা প্রহরায় রয়েছেন।
জেলা প্রশাসক মো: শফিউর রহমান বলেন, পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।