মাদারগঞ্জে জোরপূর্বক জমি দখল গাছ কর্তন ও মাটি ভরাটের অভিযোগ
জামালপুরের মাদারগঞ্জে একটি সালিশের মাধ্যমে মীমাংসিত জমি আবারও জোরপূর্বক দখল, অর্ধশতাধিক গাছ কর্তন ও মাটি ভরাটের অভিযোগ উঠেছে; ভুক্তভোগী প্রতিকার চেয়ে থানায় অভিযোগ ও আদালতে মামলা দায়ের করেছেন
জামালপুরের মাদারগঞ্জে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে তেঘরিয়া এলাকার আলতাফুর রহমান ও সোহান আহম্মেদ সোবান এর বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, তেঘরিয়া মৌজার ১৮০ নং খতিয়ানের ১৮৯৮ নং দাগে ১৭ শতাংশের কাতে সাড়ে ৮ শতাংশ জমি আব্দুল হাকিমের ছেলেদের থেকে ১৯৮৮ সালে ক্রয় করেন শাহাদাৎ ও লাল বাহাদুর। তাদের কাছ থেকে ২০২০ সালে উক্ত জমি ক্রয় করেন শাহ আলম।
গত প্রায় দেড় বছর পূর্বে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে গ্রাম্য সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে সকল কাগজপত্র পর্যালোচনা করে সালিশদারগণ শাহ আলমকে উক্ত জমি বুঝিয়ে দেন এবং প্রতিপক্ষের দেওয়া বাউন্ডারি ভেঙে দেন।
তবে, সর্বশেষ ১২ মে ২০২৫ ইং তারিখে অভিযুক্তরা ঐ জমি পুনরায় জোরপূর্বক দখল করে নেয়। এ সময় তারা প্রায় অর্ধ শতাধিক গাছ কেটে মাটি ভরাট করে লেট্রিন বসায় এবং একপাশে টিন দিয়ে ঘেরাও করে সম্পন্ন দখলে নেয়।
এ ব্যাপারে মাদারগঞ্জ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী শাহ আলম। তিনি বলেন,
‘ক্রয়সূত্রে আমার সকল কাগজপত্র সঠিক আছে বিধায় গত দেড় বছর পূর্বে চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে কাগজপত্র পর্যালোচনা করে প্রতিপক্ষের দেওয়া বাউন্ডারি ভেঙে আমাকে বুঝিয়ে দেয়। এরপর গত ১২ মে হঠাৎ করে ১০/১৫ জন লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রায় অর্ধ শতাধিক গাছ কেটে ফেলে মাটি ভরাট করে লেট্রিন বসায় এবং এক পাশে টিন দিয়ে ঘেরাও করে সম্পন্ন দখলে নেয়।’
শাহ আলম আরও জানান, এ ঘটনায় তিনি মাদারগঞ্জ মডেল থানায় অভিযোগ এবং জামালপুর জজ কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন। তিনি আইনগতভাবেই সঠিক বিচার চেয়েছেন।