সাতক্ষীরা

কুলিয়া এলাহি বক্স মাদ্রাসায় নিয়োগের নামে সুপারের বিরুদ্ধে অর্থ আদায়ের অভিযোগ!

দেবহাটার কুলিয়া এলাহি বক্স দাখিল মাদ্রাসায় লাইব্রেরিয়ান ও ইনফরমেশন সায়েন্স এবং নৈশ্যপ্রহরী পদে নিয়োগ দেওয়ার নামে ৫ লক্ষাধীক লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে উঠেছে। এ ঘটনায় ২ ভূক্তভোগী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর পৃথক পৃথক অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসার সুপার আব্দুল কুদ্দুস চাকুরি দেওয়ার নামে বিভিন্ন প্রার্থীর কাছ থেকে মোট অংকের টাকা গ্রহণ করে। যার মধ্যে শশাডাঙ্গা গ্রামের আবু বক্কার সিদ্দিককে লাইব্রেরিয়ান ও ইনফরমেশন সায়েন্স পদে নিয়োগ দেওয়ার নামে ২ লাখ টাকা এবং নৈশ্যপ্রহরী পদে উত্তর পারুলিয় গ্রামের আব্দুর রশিদের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা গ্রহণ করে। কিন্তু নিয়োগ না দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তালবাহানা করতে থাকে। এক পর্যায়ে নিয়োগ দিতে না পেরে ওই টাকা ফেরত দেওয়ার কথা জানান সুপার আব্দুল কুদ্দুস। এরপর একাধিক বার সময় নিয়ে ভূক্তভোগীদের টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো হয়রানি করতে থাকে মাদ্রাসার সুপার। বিষয়টির সমাধান না হওয়ায় উপায় না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করে ওই দুই ব্যক্তি। 

ভূক্তভোগী আব্দুর রশিদ জানান, মাদ্রাসার সুপার আব্দুল কুদ্দুস চাকুরি দেওয়ার নামে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের স্বার্থে আমার কাছ থেকে ৬ বছর পূর্বে ৩ লাখ টাকা গ্রহণ করে। আমি বড় আশা নিয়ে জমি ও গরু বিক্রি করে তার কাছে টাকা জমা দেই। কিন্তু তিনি আমাকে নিয়োগ না দিয়ে বেশি টাকার বিনিময়ে অন্য প্রার্থীকে চূড়ান্ত করেছে। একদিকে আমাকে মিথ্যা আশা দিয়ে দিনের পর দিন প্রতারণা করে করে আসছে। অপরদিকে আমার প্রদানকৃত টাকা ফেরত না দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে। আমরা খবর নিয়ে জানতে পেরেছি এসব টাকা উত্তোলন করেই নিজের স্বজনদের নামে বহু সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি। মাদ্রাসার সুপার ধুরন্ধর হওয়ায় বছরের পর বছর অপরাধ করে সবকিছু ম্যানেজ করে স্বপদে বহাল আছে। আমরা তার এই কাজের শাস্তি ও প্রদানকৃত টাকা ফেরত পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। 

এবিষয়ে অভিযুক্ত সুপার আব্দুল কুদ্দুস জানান, টাকা নেওয়ার বিষয়টি সত্য। আমি মাদ্রাসাটি প্রথম থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বহু বাধা অতিক্রম করে মাদ্রাসাটি পরিচালনা করছি। আমি তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে উক্ত পদে নিয়োগ দিতে পারিনি। কিন্তু তাদের প্রদানকৃত টাকা ফেরত দিব, সে জন্য আমাকে সময় দিতে হবে। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আসাদুজ্জামান জানান, কুলিয়া এলাহি বক্স দাখিল মাদ্রাসায় লাইব্রেরিয়ান ও ইনফরমেশন সায়েন্স এবং নৈশ্যপ্রহরী পদে নিয়োগ দেওয়ার নামে অর্থ আদায়ের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker