দেবহাটায় সরকারি জমি ব্যক্তি মালিকানা দেখিয়ে বিক্রির চেষ্টার অভিযোগ
দেবহাটার সখিপুরে সরকারি বন্দোবস্ত নেওয়া জমি ব্যক্তি মালিকানা দাবি করে বিক্রির চেষ্টার অভিযোগ উঠছে। দক্ষিন সখিপুর গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে শরিফুল ইসলামের নিকট থেকে মাঝ সখিপুর গ্রামের মৃত মোজাম্মেল বিশ্বাসের ছেলে আব্দুল জব্বার বিশ্বাস (৬৫) তথ্য গোপন করে উক্ত জমি বিক্রির জন্য বায়নার টাকা হাতিয়ে নেন। টাকা ফেরৎ চাইলে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা ও জীবন নাশের হুমকি।
ভূক্তভোগী শরিফুল ইসলাম (৪২) জানান, মাঝ সখিপুর গ্রামের মৃত মোজাম্মেল বিশ্বাসের ছেলে আব্দুল জব্বার বিশ্বাস সখিপুর মৌজায় ৩২৭১ খতিয়ানে বি.আর.এস ৫৪৩৭ দাগে ৯৩ শতক জমিতে পুকুর আমার মাধ্যমে স্কেভেটার মেশিন ভাড়া নিয়ে পুকুর খনন করে। সে সময় আমার সাথে আব্দুল জব্বার বিশ্বাসের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে ঐ জমিটি বিক্রয় করার জন্য আমাকে জানালে আমি জমিটি ক্রয় করতে আগ্রহ প্রকাশ করি এবং উক্ত ৯৩ শতক জমির দাম সর্ব্বোচ্চ দর ৪৫ লাখ নির্ধারণ করা হয়। পরে চলতি বছরের ২৫ মার্চ সখিপুর মোড়স্থ্য আমার সরদার এন্টারপ্রাইজ নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে আব্দুল জব্বার বিশ্বাস ১০ লাখ টাকা গ্রহণ করে। পরবর্তীতে আমি খোঁজ খবর নিয়ে জানিতে পারি ওই সম্পত্তি সরকারি খাস সম্পত্তি। যা ইতোপূর্বে জনৈক লুৎফর রহমানকে ৯৯ বছরের জন্য বন্দোবস্ত প্রদান করে সরকার। যা ব্যক্তি মালিকানায় কখনো রেকর্ড সম্ভব নয়। এরপর আমি ঐ জমি না নিয়ে আমার প্রদানকৃত টাকা ফেরত চাইলে ৩০ মার্চ বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সখিপুর শাখায় আব্দুল জব্বার তার নিজ নামীয় হিসাব নং- ১৫১২০৩১১১৪৭৯৪২ এর ঝইন ৮২৩৭৩৯৭ নং চেকের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা প্রদান করে। ব্যাংকে টাকা না থাকায় চেকের পাতাটি ডিজ অনার করা হয়। পরে আমি তার বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালাতে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করি। বিজ্ঞ আদালত ১১ জুন তারিখে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করলে তার গাত্রদাহ শুরু হয়। ওই দিন বেলা সাড়ে ৩ টার দিকে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে এসে আমাকে মাটি কাটার মিথ্যা মামলা সহ জীবন নাশের হুমকী ও বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতির প্রদান করে। পরে বিষয়টি নিয়ে দেবহাটা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এরপরও থেমে নেই জব্বার বিশ্বাস। একের পর এক বিভিন্ন ব্যক্তি দিয়ে হুমকি অব্যহত রেখেছে সে। বর্তমানে আমি এবং আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে।