নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সংগঠিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের গ্রেফতার করতঃ আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগনের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল অনুমান ০৮:৩০ ঘটিকার সময় ভিকটিম শুভ হাওলাদার (৯), পিতা-ইব্রাহিম হাওলাদার, মাতা-ঝুমুর বেগম, সাং-হাফিজ কমিশনারের বাড়ির ভাড়াটিয়া, থানা-সোনাডাঙ্গা মডেল, কেএমপি, খুলনা তার খালার বাড়িতে খেলা করার জন্য যায়। সেখান থেকে সে ময়লাপোতা বস্তির দিকে খেলতে যাওয়ার পর যথাসময়ে নিজ বাড়িতে ফেরত না আসায় ভিকটিমের পরিবার তাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। অতঃপর একই দিন আনুমানিক ১২:৩০ ঘটিকার সময় সোনাডাঙ্গা আবাসিক ২য় ফেজ, রোড নং-১৪, হোল্ডিং নং-৩৭, এর পিছনে খালি প্লট নং-৩৬ এর হোল্ডিং নং-৩৭ এর সীমানা প্রাচীরের পাশে ঝোপের মধ্যে ভিকটিম এর লাশ স্থানীয় লোকজন দেখতে পায়। বিষয়টি জানতে পেরে ভিকটিমের খালা নাজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে তার বোনের সন্তান শুভ হাওলাদার এর লাশ বলে শনাক্ত করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা ঝুমুর বেগম বাদী হয়ে কেএমপি, খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। সংঘটিত এই হত্যাকান্ডটি বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হয় এবং জনমনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। বহুল আলোচিত এবং চাঞ্চল্যকর হত্যার পর থেকেই র্যাব-৬ ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনের লক্ষ্যে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং অপরাধীদের গ্রেফতারের উদ্দেশ্য গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখে ও বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে।
এরই ধারাবাহিকতায় ২১ ফেব্রুয়ারি র্যাব-৬ (স্পেশাল কোম্পানি) খুলনার একটি চৌকস আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, চাঞ্চল্যকর “শুভ হাওলাদার” হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী মো: রাকিব সোনাডাঙ্গা থানার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আত্নগোপন করে আছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি অদ্য ২২ ফেব্রুয়ারি ০০:১৫ ঘটিকায় কেএমপি, খুলনার সোনাডাঙ্গা থানাধীন মজগুন্নী বাস্তহারা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর “শুভ হাওলাদার” হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী মো: রাকিব (১৮) কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী’কে কেএমপি, খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts sent to your email.