নারায়নগঞ্জ

শ্রমিক লীগ নেতার ইন্ধনে আ’লীগ নেতাকর্মীর বাড়িতে হামলা ভাংচুর

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মেঘনা নদী পরিবেষ্টিত চরাঞ্চল নুনেরটেক এলাকায় ব্যক্তিগত শত্রুতায় এক শ্রমিক লীগ নেতার ইন্ধনে আওয়ামী লীগের ১৬  নেতাকর্মীর বাড়িতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট করেছে দূর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার ও বুধবার বারদী ইউনিয়নের নুনেরটেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর নুনেরটেক এলাকার আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা বাড়ি ছেড়ে আত্মগোপনে যাওয়া সুযোগে দূর্বৃত্তরা এ হামলা চালায়। 

অভিযোগ উঠেছে, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় স্থানীয় শ্রমিকলীগ নেতা শুক্কুর মাহমুদের ইন্ধন রয়েছে বলে জানিয়েছেন ভূক্তভোগী একাধিক আওয়ামী লীগ নেতারা। 

এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানার ওসি এসএম কামরুজ্জামানকে একাধিকবার ফোন করা হলে মোবাইল রিসিভ করেননি। তবে, হামলা ভাংচুরের ঘটনায় তার ইন্ধনে থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন স্থানীয় শ্রমিকলীগ নেতা শুক্কুর মাহমুদ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের নুনেরটেক গ্রামে মঙ্গলবার ও বুধবার স্থানীয় দুইজন বিএনপি নেতার নেতৃত্বে দূর্বৃত্তরা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য ওসমান গণি, আবুল হাসেম, মনির হোসেন, স্বপন মিয়া, নজরুল ইসলাম, মাহমুদ, আমজাদ হোসেন, মনিরুল ইসলাম মনির, খলিল মিয়া, জাকারিয়া, মিজানুর রহমানের ১৬টি ঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। হামলার সময় বাড়ির নারী ও শিশুরা নিজেদের রক্ষার্থে আতংকিত হয়ে চিৎকার শুরু করে। 

ভূক্তভোগী ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য ওসমান গণি বলেন, শ্রমিক লীগ নেতা শুক্কুর মাহমুদের সঙ্গে রাজনৈতিক দ্বন্ধ কাজে লাগিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের দিয়ে তাদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুর চালানো হয়েছে। বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার কারণে তারা আমাদের ওপর হামলা চালাতে পারেনি। তবে, আমাদেরকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাসেম বলেন, রাজনৈতিকভাবে আমরা সহাবস্থানে ছিলাম। তবে নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শুক্কুর মাহমুদের সঙ্গে শত্রুতার কারণে বিএনপির নেতাকর্মীদের ইন্ধন দিয়ে আমাদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুর করা হয়েছে। হামলাকারীরা তার অফিস থেকে ৬ লাখ টাকা লুট করে নিয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শুক্কুর মাহমুদ বলেন, বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় তার ইন্ধন নেই। আমিও আওয়ামী লীগ করি। আমার চাচা ও ফুফা বিএনপি করে তাই আমার বাড়িঘরে তারা হামলা করেনি।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

এছাড়াও পরীক্ষা করুন
Close
Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker