ডাসারে সরকারি জমি দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ভবন নির্মাণের অভিযোগ
মাদারীপুরের ডাসারে সরকারি জায়গা অবৈধভাবে দখল করে পাঁকা স্থাপনা নির্মাণ করেছে একটি প্রভাবশালী মহল। তবে দখলের বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি প্রশাসনের রহস্যজনক ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন। নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধা আঙুল দেখিয়ে সরকারি জায়গায় প্রতিনিয়ত ব্যক্তি মালিকানায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গড়ে উঠায় এতে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।
প্রায় একযুগ ধরে সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা গড় উঠে সেখানে নতুন করে পাঁকা ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। অপরদিকে প্রশাসন এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কোনো প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সরজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে জানাগেছে, ডাসার উপজেলার ৩৩ নং ধামূসা মৌজার ১ খতিয়ানে বিআরএস ৭২১ নং দাগে খাল ও ৭২৮ নং দাগে রাস্তা সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত আছে। বেশ কয়েক বছর আগেও পাশে একটি খালের অবস্থান ছিলো।
কালক্রমে সরকারি খাল ও রাস্তার জায়গা অবৈধভাবে দখল করে সেখানে দোকান ও পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে সেগুলোকে ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ডাসার ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ বেলায়েত হোসেনসহ একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
আবারও নতুন করে সরকারি খালের জায়গা ভরাট করে পাঁকা বহুতল ভবন, হাসপাতাল ও মার্কেট নির্মাণের কাজ করছেন ঠিকাদার সৈয়দ শাহআলম। সরকারি খাল ও রাস্তা দখল হয়ে যাওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে এতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা সরকারি খাল ও রাস্তার দখল হয়ে যাওয়া জমিগুলো মুক্ত করতে এখন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। তবে উপজেলা প্রশাসন কার্যকর ভুমিকা না রাখার কারণে এতে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তবে সরকারি জায়গা দখলের বিষয়ে অধিকাংশ দখলদার কথা বলতে রাজি হয়নি।
ডাসার কাঁঠালা বাজার কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল আলম লাহিদ বলেন, খালটি পানি নিষ্কাশনের জন্য খুবই প্রয়োজন। এটি একটি উপজেলার মধ্যে বড় বাজার। সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করা উচিত।
দখলদার সৈয়দ শাহআলম বলেন, আমার পাঁকা ভবনটি যদি সরকারি জায়গায় পরে, তাহলে আমি ভেঙে ফেলবো। এসময় সৈয়দ বেলায়েত হোসেন দখলের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমার নিজস্ব জমিতেই আমি দোকান তুলেছি।
ডাসার উপজেলা ভুমি সার্ভেয়ার মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, সরকারি খাল ও রাস্তার অংশে স্থাপনা রয়েছে। বিষয়টি ইউএনও স্যারকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। ডাসার উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজা মো.গোলাম মাসুম প্রধান বলেন, সার্ভেয়ার এখনো চুড়ান্ত রিপোর্ট দেয়নি। অবৈধ দখলের বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখেবো।