মাদারীপুরে তিনটি হত্যার ঘটনায় দুই মামলা, গ্রেফতার দুই
মাদারীপুরের কালকিনিতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বার দ্বন্দ্বে তিন জন খুনের ঘটনায় পৃথক ২টি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মাদারীপুরের কালকিনি থানায় নিহত পরিবারের পক্ষ থেকে পৃথক ২টি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এই দুই মামলায়ই প্রধান আসামি করা হয়েছে কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনকে। এঘটনায় এরিইমধ্যে দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সাব্বির হোসেন শান্ত ও মোতালেব হোসেন মতু। গ্রেফতারকৃতদের সোমবার দুপুরে মাদারীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে মামলার বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গির আলম।
মামলা দুটো দায়ের করেছেন নিহত আতাউর রহমান আক্তার শিকদারের পিতা মতিউর রহমান ও নিহত সিরাজ চৌকিদারের পিত রশিদ চৌকিদার। দুই মামলায় আসামি করা হয়েছে ৯৯ জনকে। অজ্ঞাত আছে আরো দেড় শতাধিক। সোমবার রাতে কালকিনি থানায় মামলা দুটো দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত ২৭ ডিসেম্বর (শুক্রবার) ভোরে আধিপত্য বিস্তার আর স্থানীয় কোন্দলের জেরে মাদারীপুরের বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আতাউর রহমান আক্তার শিকদার, তার ছেলে মারুফ শিকদার ও সহযোগী সিরাজ চৌকিদারকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকজন।
অনেকদিনে আগেই থেকে বাঁশগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ও মেম্বার আক্তার শিকদারের সাথে দ্বন্দ্বের জেরেই এই তিন জন খুন হয়েছে বলে নিহতের পরিবারের দাবি। এঘটনার পর থেকে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে। বাজার-ঘাটে এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ র্যাবের সদস্যরা এলাকায় টহল দিচ্ছেন।
এব্যাপারে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, পৃথক দুটো হত্যা মামলা দায়ের করেছে নিহতের পরিবার। মামলায় প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান সুমন ও দ্বিতীয় আসামি তার ছোট ভাই মশিউর রহমান রাজন।
এদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে। অন্য আসামিদের মধ্যে সাব্বির হোসেন শান্ত ও মোতালেব হোসেন মতুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এলাকায় নিরাপত্তার জন্যে পুলিশ মোতায়ন আছে। এজাহারে চেয়ারম্যান সুমনের নেতৃত্বেই দুটো খুন হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।