মাদারীপুরে আধিপত্য নিয়ে কিশোর গ্যাং-এর দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২৫
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মাদারীপুরে কিশোর গ্যাং-এর দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে ৫ পুলিশসহ আহত হয়েছে অন্তত ২০ জন। এই ঘটনায় অন্তত ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাত ৮টার সময়ে সদর উপজেলার পূর্ব রাস্তি পুরাতন ট্রলারঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেলে পাঠিয়েছে চিকিৎসক।
আহতরা হলেন, সদর উপজেলার পূর্ব রাস্তির সোহরাব ঢালীর ছেলে রিফাত ঢালী (১৭), একই এলাকার বাপ্পি বেপারীর ছেলে সুরুজ বেপারী (১৬), মাদ্রা এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে সোহেল (২৫), আমবাড়ি এলাকার মহসিন সরদারের ছেলে মিলন সরদার (২০), শহরের শকুনি এলাকার বেলায়েত মুন্সির ছেলে ফারদিন মুন্সি (১৭), সবুজবাগ লঞ্চঘাট এলাকার আরিফ বেপারীর ছেলে নিশাদ (১৬), মহিষেরচর এলাকার আলমগির খানের ছেলে রাব্বি খান শীতল (১৮), একই এলাকার ইছাহান খানের ছেলে ইয়াসিন খান (১৭), শাজাহান হাওলাদারের ছেলে ইমন হাওলাদার (১৬), শহরের পুরাণবাজারের আরিফ হাওলাদারের ছেলে নিবিড় (১৬), একই এলাকার হারেচ হাওলাদারের ছেলে নাহিদ (১৭)।
এছাড়া আহত পুলিশ সদস্যরা হচ্ছে, সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইউনুস মোল্লা (৪৫), সুমন খান (৩৬), রমজান আলী সজল (৩৪), কনস্টেবল নুরুল ইসলাম খান (৪৮), কামরুল ইসলাম খান (৪০)। বাকি আহতদের নাম তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শহরের লঞ্চঘাট এলাকার নীরব বেপারীর সাথে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্ব রাস্তি এলাকার নাঈম ভুইয়ার বিরোধ চলছে। এরই জেরের কারণে রাতে দুই গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরেন। খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরে তাদের সাথে যোগ দেন সেনাবাহিনীর একটি দল।
এই সংঘর্ষে ৫ পুলিশসহ আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। আহতদের মধ্যে বোমায় গুরুতর আহত রিফাত ঢালীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেলে পাঠায় চিকিৎসক। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ১০ জনকে আটক করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী এক গণমাধ্যমকর্মী জানান, হঠাৎ করেই কিশোর গ্যাং-এর অর্ধশত সদস্য দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয় তারা। এলাকায় ক্ষমতা দেখাতেই এমন কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।
আটকদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আহতও রয়েছে। এছাড়া এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।