কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী দীপ্ত দে হত্যার ঘটনায় মাদারীপুরের আদালতে ২৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালসহ ২৭ জনের নামে এই মামলাটি দায়ের করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মাদারীপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করনে জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরি। মামলাটির শুনানি শেষে পরে আদালতের বিচারক হুমায়ুন কবির সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মামলাটি নথিভুক্ত করতে নির্দেশ দেন। নিহত দীপ্ত দে (২২) মাদারীপুর শহরের আমিরাবাদ এলাকার স্বপন দের ছেলে সে মাদারীপুর সরকারি কলেজের প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
মামলার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল ছাড়াও অন্য আসামি রয়েছেন তারা মাদারীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নুর-ই আলম লিটন চৌধুরি, মাদারীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাজাহান খান, মাদারীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মাদারীপুর-৩ আসনের আরেক সাবেক সংসদ সদস্য ড: আবদুস সোহবান মিয়া গোলাপ, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুনীর চৌধুরি, মাদারীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদসহ মোট ২৭ জন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই সকালে কোটা সংস্কার আন্দোলনে যোগ দেয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। শহরের শকুনি লেক এলাকায় আসলে আসামীরা মাদারীপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী দিপ্তকে গুলি করে ও কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে সে লেকের পানিতে পড়ে যায়। ওইদিন দুপুরে শকুনি লেক থেকে দিপ্ত’র মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এই ঘটনায় জড়িত থাকায় শেখ হাসিনাসহ ২৭ জনের নামে মামলা দায়ের করেন শহরের পানিছত্র এলাকার বাসিন্দা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরি (৩৮)।
মাদারীপুর সদর থানার ওসি এএইচএম সালাহ উদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবো।