যখন টিকটকার লায়লা ও প্রিন্স মামুন নিয়ে সারাদেশে আলোচনায় তখন মাদারীপুরে আলোচিত হয়েছে আরেক প্রিন্স মামুন। তবে সে কোন জ্যান্ত মানুষ নয় সে হচ্ছে শখের গরু। যার নাম রাখা হয়েছে প্রিন্স মামুন। মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা এলাকার আয়উব আলী বেপারী শখ করে তার গরুর নাম রেখেছেন প্রিন্স মামুন। গত দুই বছর ধরে দেশীয় খাবার খেয়ে খামারে বড় হয়েছে প্রিন্স মামুন। কমপক্ষে ২৫ কেজি খাবার প্রতিদিন দরকার প্রিন্স মামুনের। খামারির দাবি বর্তমানে প্রিন্স মামুনের ওজন এখন ২৫ মণ হয়েছে।
প্রিন্স মামুনকে দেখতে সুন্দর এদিকে তাকে দেখতে প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে আসছে আয়উব আলী বেপারীর খামারে। তাকে নিয়ে মাদারীপুর জুড়ে আলোচনা বেশি হচ্ছে। খামারি দাবি, জেলার হাট কাঁপাতে আসছে এই প্রিন্স মামুন। লম্বা ১২ ফুট ও সাড়ে ৬ ফুট উচ্চতার গরুটি শান্ত স্বভারেরও। প্রতিদিন খড়, খৈল, ঘাস ও ভুসি এগুলো হচ্ছে প্রিন্স মামুনের পছন্দের খাবার।
মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা এলাকার আয়উব এর খামারের বড় হওয়া প্রিন্স মামুন নামের গরুটির দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা।
মহিষেরচর এলাকা থেকে আসা সামিউল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, গরুটি দেখে অনেক ভালোই লেগেছে। পরিবারের সঙ্গে আলাপ করে আবারও আসব এখানে। তখন চাহিদামতো দামে বিক্রি হলে পরিবারের জন্য এটি কিনে নিয়ে যাব আশাকরি।
আব্বাস নামে এক লোক বলেন, টিকটকে প্রিন্স মামুনকে দেখেছি তাহলে সেই নামে গরুও আছে। এটা শুনে দেখতে আসলাম। এসে দেখি অনেক মানুষের ভিড় করছে। সত্যিই রাজপুত্রের মতো দেখতে প্রিন্স মামুন। যারা লালন পালন করেছে, তারা যেন ন্যায্য দাম পায় সেই প্রত্যাশাই করি।
খামারি আয়উব আলী বেপারীর ছোট ভাই শামীম হোসেন বেপারী বলেন, সম্পূর্ণ দানাদার খাবার খাইয়ে গরুটিকে লালন পালন করেছি। সেই পরিশ্রম অনুযায়ী প্রিন্স মামুনের দাম আশা করছি। ক্রেতারা আসছেন, দামও বলছেন। হয়ত কুরবানির আগেই এটি বিক্রি হয়ে যাবে।
গরু মালিক আয়উব আলী বেপারী জানান, ছোটভাই শামীম হোসেন বেপারীকে সাথে নিয়ে পরম যত্নে লালন পালন করছেন প্রিন্স মামুনকে।