মাদারীপুর সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড থেকে ৬ মাসের এক শিশু চুরির এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। মুহূর্তেই শিশুটিকে নিয়ে ইজিবাইকে করে দ্রুত পালিয়ে যায় এক নারী, সেই ঘটনাটি ধরা পড়েছে সিসিটিভি ফুটেজে। চুরি হওয়া শিশু আব্দুর রহমানকে উদ্ধার ও এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তার স্বজনরা। অপরাধীদের ধরতে এরই মধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছেন মাদারীপুর থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশও।
জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার মহিষেরচর পাকা মসজিদ এলাকার সুমন মুন্সির ৬ মাসের ছেলে আব্দুর রহমানকে হারিয়ে এখন পাগল প্রায় মা সুমি আক্তার। বাবা সুমন মুন্সিরও বাকরুদ্ধ অবস্থা। স্বজনরা জানান, তিনদিন আগে অসুস্থ দুই বছরের মেয়ে জামিলাকে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের ৬তলার শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বড় মেয়ে জান্নাতকে খাওয়াচ্ছিল মা সুমি আক্তার। এসময় গোলাপি রঙের বোরকা পড়া এক নারী আব্দুর রহমানকে কোলে তুলে নেয়। আদর করার জন্য হাসপাতালের বারান্দা নিয়ে যায়। মুহূর্তেই মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে রহমানকে নিয়ে সটকে পড়ে। অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পাওয়া গেলে খবর দেয়া হয় পুলিশকে।
হাসপাতালের বাইরে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ৬ মাসের শিশুকে কোলে নিয়ে ইজিবাইকে করে হাসপাতাল ছেড়ে যাচ্ছেন এক নারী। হাসপাতালে নিরাপত্তা না থাকার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ স্বজনদের। চুরি হওয়া আব্দুর রহমানকে উদ্ধারের এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
শিশুটি বাবা সুমন মুন্সি বলেন, আমার ছেলেকে ফেরত চাই। হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো থাকলে এমন ঘটনা ঘটতো না। মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাকত চাকমা বলেন, ঘটনা তদন্তে এরই মধ্যে মাঠে নেমেছে থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ। চক্রে জড়িত ধরতে তৎপরতা শুরু হয়েছে। আশা করি শীঘ্রই গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নুরুল আমিনসহ কোন চিকিৎসকই এ ব্যাপারে ক্যামেরার সাথে কথা বলতে রাজি হয়নি।