শ্রমিকদল নেতা শাকিল মুন্সিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে এক সংবাদসম্মেলন মাদারীপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১২ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে শহরের পৌর কমিউনিটি সেন্টারে এই সংবাদসম্মেলনের আয়োজন করেছেন নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে।
এসময় শাকিল মুন্সি হত্যার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিতের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। মামলার বাদী নিহতের বড়ভাই হাসান মুন্সিকেও হত্যার হুমকি পাচ্ছে আসামিদের থেকে এমনও অভিযোগ করা হয়েছে সংবাদসম্মেলনে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মাদারীপুর সদর উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি ও নতুন মাদারীপুর গ্রামের মোফাজ্জেল মুন্সির ছেলে শাকিল মুন্সির সাথে শহরের বিসিক শিল্পনগরী এলাকার মফেজ হাওলাদারের ছেলে লিটন হাওলাদারের এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে গত ২৩ মার্চ রাতে ‘নতুন মাদারীপুর’এলাকায় একা পেয়ে শাকিলের উপর হামলায় চালায় লিটন ও তার লোকজন।
এ সময় শ্রমিকদল নেতা শাকিলকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনিয়েছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। পরে হামলাকারীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।
নিহত শাকিলের পরিবারের দাবি, লিটন হাওলাদারকে মাদারীপুর পৌরসভা শ্রমিক দলের সভাপতি হিসেবে সম্প্রতি কমিটিতে ঘোষণা করা হলে এর প্রতিবাদ করেছেন সদর উপজেলার শ্রমিকদলের সভাপতি শাকিল মুন্সি। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে সদর উপজেলা শ্রমিক দল নেতা শাকিলকে।
এই ঘটনার পরে শাকিলের বড়ভাই হাসান মুন্সি বাদী হয়ে ঘটনার পরদিন সদর মডেল থানায় ৬৯ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এতে গ্রেফতার হয়েছে ১০ আসামি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সদস্য কে এম তোফাজ্জেল হোসেন সান্টু, জেলা যুবদলের সাবেক নেতা কামাল সরদার, নিহত শাকিল মুন্সির মা আমিরুণ বেগম, স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস, বড়ভাই হাসান মুন্সিসহ অন্যান্যরা।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গির আলম বলেন, শাকিল মুন্সি হত্যাকাণ্ডে জড়িত এখন পর্যন্ত ১০ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।