ঋতুর পালা বদলে শীতের আগমনের এই মৌসুমে শহর থেকে শুরু করে অজপাড়াগাঁয়ে চলছে ওয়াজ মাহফিল,গ্রামীন মেলা,যাত্রাপালা,বাউল গানের কনসার্ট এবং রাজনৈতিক দলগুলোর বিভিন্ন আলোচনা ও মতবিনিময় সভাসহ বিভিন্ন রকমের অনুষ্ঠান।
প্রতিদিন এলাকার কোথাও না কোথাও অনুষ্ঠান হচ্ছে। এসব পোগ্রামের উল্লেখযোগ্য একটি প্রয়োজনীয় জিনিস হচ্ছে ডেকোরেশন ও মাইক সার্ভিস৷ এছাড়াও রয়েছে লাইটিং ও জেনারেটর পাশাপাশি রয়েছে প্রজেক্টর।
প্রকৃতিতে শীতের আগমন মানেই রাতের বাতাসে ভেসে পড়ানো চিতান শব্দ। চলছে সাউন্ড ও ডেকোরেশন ব্যবসায়ীদের দেদার্সে অধিক উপার্জন। পোগ্রাম রাখতে গিয়ে হিমসিম খেতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের৷ কারণ, প্রতিদিন একাধিক পোগ্রামের অর্ডার আসছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কিশোরগঞ্জের সবগুলো উপজেলায় এখন শীতের মৌসুমে ওয়াজ মাহফিল হচ্ছে বেশি। এছাড়াও গ্রামীণ মেলাসহ বিভিন্ন রকমের অনুষ্ঠান লেগেই আছে৷ প্রতিটি ইউনিয়নের কোথাও না কোথাও প্রতি রাতেই তিন চারটি পোগ্রাম হচ্ছে।
এসব পোগ্রামে স্থানীয় ডেকোরেশন ও মাইক সার্ভিসের প্রয়োজন হচ্ছে৷ অনুষ্ঠান বড় হলে দূর থেকেও ডেকোরেশন আনা হচ্ছে৷ এসব ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছে অনেক শ্রমিক৷
দিনরাত তারা এসব কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন৷ প্রতি রাতেই এসব পোগ্রামে মাইক সার্ভিস ভাড়া হচ্ছে ১৫-২৫ হাজার টাকার মধ্যে। এছাড়াও ডেকোরেশন খরচ তিরিশ হাজার থেকে শুরু হয়ে এক লক্ষ টাকাও হয়ে থাকে।
জেলার বাজিতপুর উপজেলার দিলু মাইক সার্ভিসের দিলু ও হোসেনপুর উপজেলার সাহেবেরচরস্থ হাজীবাড়ী সাউন্ড সিস্টেমের মালিক রিপন মিয়াসহ অনেকে বলেন, ‘শীত মৌসুমে অনেক অর্ডার পাচ্ছি।
আমরা এখন বিরামহীন সময় পার করছি।প্রতিদিন পোগ্রাম আসছে। ব্যবসা ভালো চলছে এখন। একই উপজেলার হাজীপুর বাজারস্থ
]
রাজধানী ডেকোরেশনের মালিক জুবায়েল বলেন,প্রতিটি পোগ্রাম থেকে খরচ বাদে ১৫-২০ হাজার টাকা আয় থাকে৷ চাহিদা তো অনেক কিন্তু সবগুলো কাজ রাখা সম্ভব হয় না।
ওয়াজ, বিয়ের পোগ্রাম বেশি৷ এছাড়াও রাজনৈতিক দলের পোগ্রামও থাকে। সব মিলিয়ে এখন ভালো চলছে।
কথা হয় ময়মনসিংহ জেলাধীন গফরগাঁও উপজেলার পরশিপাড়াস্থ শাহিন সাউন্ডের মালিকের ছোট ভাই সামিম মিয়ার সাথে তিনি জানান,শীতকালীন সময় আমাদের ব্যস্ততা থাকে অনেক বেশি নিজ উপজেলা ছাড়াও প্রতিবেশী উপজেলা থেকেও প্রগ্রামের প্রস্তাব পাচ্ছি।