গাজীপুরের কালিয়াকৈরে শিশু সোহাইব (৫) কে অপহরনের পর হত্যা করে হাত-পা বেধে নদীতে ফেলে দেয়ার ঘটনার ১৫ দিন পর লাশ উদ্ধারে শুক্রবার সকালে উপজেলার টান কালিয়াকৈর এলাকার ঘাটাখালি নদীতে উদ্ধার অভিযান চালিয়েছে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
এদিকে সকাল নয়টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়েও সোহাইবের লাশ করা সম্ভব হয়নি গত ৯ অক্টোবর রাতে সাড়ে আটটার দিকে ভাড়া বাসা থেকে সোহাইবকে অপহরণ করে তার দূঃসর্ম্পকের চাচা ও তার সঙ্গীরা।
নিখোজের রাতেই কালিয়াকৈর থানায় একটি সাধারণ নিখোজ ডায়েরী করেন শিশুর দাদা শাহজান মিয়া। এদিকে অপহরণের দিন রাতেই শিশুকে জীবিত ফেরত পেতে ফোনে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করেন অপহরনকারীরা।
অন্যথায় জীবিত নয় মৃত লাশ পাবে বলে হুমকি দেয় নিখোজ শিশুর পরিবারকে। এদিকে পুলিশ ওই ফোনের সূত্র ধরে বিভিন্ন স্থান থেকে অপহরনের সাথে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করলেও উদ্ধার করতে পারেনি শিশু সোহাইবকে।
এদিকে গ্রেফতারের পর শিশু সোহাইবকে হত্যা করে হাত-পা বেধে ঘাটাখালি নদীতে ফেলে দেয়ার কথা শিকার করেন অপহরনকারীরা ।পরে গ্রেফতারকৃতদের গাজীপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। এদিকে ঘটনার পর থেকেই পুলিশ ও শিশুর পরিবারের সদস্যরা লাশ উদ্ধারে একাধিক বার নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়।
টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের টিম লিডার ইদ্রিস আলী বলেন আমরা সকাল নয়টা থেকে উদ্ধার অভিযান চালিয়েও শিশুর লাশ পাওয়া যায়নি।তবে নদীতে অনেক স্রোত ধারণা করা হচ্ছে লাশটি এতো দিনে পানির স্রোতে অনেক দুর চলে যেতে পারে।
কালিয়াকৈর থানার এসআই ওয়ালিয়ুর রহমান বলেন, এ ঘটনার পর থেকেই লাশ উদ্ধার আমরা নদীতে একাধিক বার উদ্ধার অভিযান চালিয়েও শিশুর লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।