গাজীপুরের কালিয়াকৈরের গাবচালা এলাকায় শুক্রবার ছয় মাদকসেবীকে আটক গণধুলায় দিয়েছে ছাত্রজনতা। এসময় মাদক বিক্রেতাদের বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনাও ঘটেছে।
আটকৃতরা হলো চাবাগান এলাকাার মো: জাহিদুল ইসলাম (২২ কোনাবাড়ি এলাকার সজিব হোসেন (১৮) কোনাবাড়ির এনায়েতপুর এলাকার রাকিব হোসেন (১৭) একই এলাকায় আশিক (১৯) জরুন এলাকার বায়জিদ হোসেন (১৯) ঠাকুরপাড়া এলাকার রিফাত হোসেন (২০)।
এলাকাবাসী ও ছাত্রজনতা সূত্রে জানা গেছে, শক্রবার বিকেলে কোনাবাড়ি ও ঠাকুরপাড়া এবং চাবাগানের সাতজনের মাদক সেবীর একটি দল গাবচালা এলাকার জসীম ও আমিনের বাড়ি থেকে মাদ্রকদ্রব্য ক্রয় করে নিয়ে অটোরিক্সা যোগে সোনাতলা বাজারের দিকে যাচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে এলাকার ছাত্রজনতা তাদের অটোরিক্স গতিরোধ করে। পরে ওই গাড়িতে থাকা প্রায় ২শত গ্রাম গাজা উদ্ধার করে এবং তাদের গনধোলায় দিয়ে সাতজনকে একটি রশি দিয়ে বেধে স্থানীয় রঘুনাথপুর বাজারে নিয়ে যায়। এসময় বিক্ষোব্দ জনতা মাদক বিক্রেতাদেও বাড়িঘর ভাংচুর করে। পরে এলকাবাসী বিষয়টি কালিয়াকৈর থানায় জানালে কর্তব্যরত অফিসার বিষয়টি গাজীপুর মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরকে জানানোর জন্য বলেন। সংবাদ পেয়ে গাজীপুরমাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সাব-ইন্সিপেক্টর জুয়েল মিয়া তার একটি দল নিয়ে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে দেখতে পান সাতজনের একটি মাদক সেবীর দল দেড়শত গ্রাম গাজাসহ এলাকাবাসী তাদের আটক করেছে। তিনি আসামীদের আটক করে না নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য বাহার উদ্দিনের জিম্মায় রেখে চলে যান।
গাবচালা এলাকার মোতালেব মিয়া জানান, ওই সকল বাড়িতে প্রায় ২৫ বছর ধরে মাদক বিক্রি করে আসছে। পুলিশ তাদের আটক করলেও টাকার বিনিময়ে ছাড়া পেয়ে আবারও মাদক বেচা শুরু করে। প্রতিদিন সন্ধার পর থেকে সারা রাত মাদক বেচা চলে। আসামী গ্রেফতার করে না নিয়ে যাওয়ার কারন সম্পর্কে গাজীপুর মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সাব-ইন্সিপেক্টর জুয়েল মিয়া জানান ইউএিনও এর পারমিশন ছাড়া আমাদের আসামী গ্রেফতার করে নেওয়ার কোন ক্ষমতা নাই। তার সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি বিধায় আমরা আসামীদের স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছি।
স্থনীয় ইউপি সদস্য বাহার উদ্দিন জানান, আটকৃত অনেকে স্কুলের ছাত্র প্রাথমিক ভাবে তাদের বিচার করে ভবিষ্যতে তারা এমন কাজ করবেনা বলে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং উদ্ধারকৃত গাজা স্থানীয়দের উপস্থিতিতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়।