গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার উত্তর হিজলহাটি এলাকায় মঙ্গলবার মধ্যরাতে পোষাক শ্রমিক স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীরা বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর থেকেই ঘাতক স্বামী পলাতক রয়েছেন।
বুধবার সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।নিহত নারী পোষাক শ্রমিক মল্লিকা আক্তার (২৪) হলেন উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের বাগবাড়ি গ্রামের আজমত আলীর মেয়ে ও শেরপুর সদর উপজেলার শেখহাটি গ্রামের সুজন মিয়ার স্ত্রী। তারা দুজনে উত্তর হিজলহাটি এলাকার আব্দুল বারেকের বাড়িতে ভাড়া থেকে নিহত মল্লিকা জেএমএস পোষাক কারখানায় চাকরী করতেন। তার স্বামী অটোরিকশা চালাতেন। তাদের ঘরে তোয়া মনি (৫) একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এঘটনায় নিহতের পিতা আজমত আলী বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি হত্যা মামলার অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয়রা নিহতের পরিবার ও পুলশ সূত্র জানায়, ৮ বছর আগে পারিবারিক ভাবে সুজনের সাথে মল্লিকার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের বনিবনা হচ্ছিল না। সুজন নেশাগ্রস্থ থাকায় প্রায় মল্লিকাকে মারধোর করতো। এর আগেও একবার তাদের ছাড়াছারি হয়ে যায়। ফের কন্যা সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে পরিবারের সদস্যরা তাদের আবার নতুন করে বিয়ে দেয়। পারিবারিক কলহের জেরেই মঙ্গলবার রাতের সাড়ে তিনটার দিকে ঝগড়ার এক পর্যায়ে মল্লিকাকে বেদরক মারধোর করে এসময় পাশের কক্ষে থাকা বাড়ির মালিক বারেক মিয়া খোজ পেয়ে এগিয়ে আসলে ঘাতক স্বামী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে মল্লিকাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। পরে কালিয়াকৈর থানায় বিষয়টি জানালে সকাল ৮ টার দিকে হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের পিতা আজমত আলী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
কালিয়াকৈর থানার ওসি এ এফ এম নাসিম বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াদিন।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts sent to your email.