গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক তেলিরচালা এলাকায় মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে সরকার ঘোষিত নতুন বেতন কাঠাম অনুযায়ী বেতন বৃদ্ধি, যথাসময়ে বেতন প্রদান ও কারখানায় চাকরীরত ভারতীয় মেনেজমেন্টদের কে চাকরীচ্যুত করনসহ ২০ দফা দাবিতে কোমল পানিয় তৈরি প্রতিষ্টান ট্রান্সকম বেভারেজের কারখানায় কর্মবিরতি রেখে বিক্ষোভ করেছে শ্রমিকরা। পরে সেনাবাহিনী ও শিল্প পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় বৈরি আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে কারখানার মূল ফটকে অবস্থান নেয়।
পুলিশ ও শ্রমিক সূত্রে জানা যায়, কারখানা কতৃপক্ষ সরকার ঘোষিত নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন করছে না। আন্দোলনরত শ্রমিকদের দাবি নূন্যতম বেতন ৭ হাজার টাকায় বৃদ্ধি, সকল শ্রমিকদের ৩ বছর পর পর পদন্নোতি করা, নারী শ্রমিকদের রাতে ডিউটি না করিয়ে প্রতিমাসের নির্ধারিত সময়ে বেতন প্রদান করে কারখানা থেকে ভারতীয় কর্মকর্তাদের প্রত্যাহারসহ ২০ দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যায় শ্রমিকরা।
এ সময় শ্রমিকরা মালিক পক্ষের লোকজন দের এনে শ্রমিদের সমস্যা সমাধান করে কারখানাটির সিনিয়র প্লান্ট ম্যানেজারকে চাকরিচ্যুত করার দাবি জানান। এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর ৯ দফা দাবি জানিয়ে কারখানার কতৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন দিয়ে ৪৮ ঘন্টার আন্টিমেটাম দেয় শ্রমিকরা। পরে বেধে দেওয়া সময় পার হওয়ার আগেই এ আন্দোলনের সমন্বয়ক শরিফুল আলম, আবুল কালাম, কাশেম মিয়াসহ তিনজনকে এইচ আর এডমিন বিভাগে নিয়ে হেনস্থা ও চাকরীচুত্যের হুমকি দেয়ার অভিযোগ করেন ওই কারখানার এইচ আর এডমিন জাহিদ হাসান ও ম্যানেজার মোর্শেদুল হুদার বিরুদ্ধে। এর পরেই মঙ্গলবার সকালে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই কর্মবিরতি রেখে কারখানার মূল ফটকে অবস্থান নেয় শ্রমিকরা।
কারখানার এইচ আর এডমিন সামশুদৌহা পারভেজ বলেন, এ বিষয়ে শ্রমিক প্রতিনিধিদের সাথে দাবি গুলো নিয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক চলছে। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে।
পরে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও শিল্প পুলিশের সদস্যরা এসে শ্রমিকদের শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করার আহবান জানান।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের কালিয়াকৈর জোন এর ওসি নিতাই চন্দ্র সরকার জানান, ট্রান্সকম বেভারেজ লিমিটেডের শ্রমিকরা ২০ দফা দাবিতে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে কারখানাটির মূল ফটকের সামনে আন্দোলন করে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বসে শ্রমিকদের তাদের সমস্যাটি সমাধান করার আহবান জানিয়েছি।