গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়ক ও বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ না থাকায় ট্রাফিকসহ পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করছে শিক্ষাথীরা।
বুধবার সকাল থেকেই খুলেছে শিল্প কারখানা। অপরদিকে উপজেলার কালিয়াকৈর বাসস্ট্যান্ড, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সফিপুর বাজার, মৌচাক বাসস্ট্যান্ড, চন্দ্রা ত্রিমোর এলাকা, সূত্রাপুর বোডঘর ও কালিয়াকৈর বাইপাস এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করছেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সড়কের মোড়ে মোড়ে শিক্ষার্থীরা এলোমেলো ভাবে চলারত যানবাহন সোজা লাইন ধরে চলতে ও হেলমেট বিহীন মোটরসাইকেল আরোহীদের হেলমেট ব্যবহারে সতর্কতাসহ মহাসড়কের সার্ভিস লাইন ব্যবহারে বাধ্য করাসহ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনার ময়লা আবর্জনা সড়াতে দিনভর পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করেন শিক্ষার্থীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর থেকেই থানাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী না থাকায় তারা এ দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
মৌচাক স্কাউট স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী মুহতাম সাব্বির বলেন, ছাত্র আন্দোলনের পর থেকেই পুলিশকে পাওয়া যায়নি আমরা নতুন করে স্বাধীনতা পেয়েছি তাই আমাদের দেশ নতুন করে সাজাবো। যেখানে থাকবেনা দূর্নীতি, কোন অপরাধ, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড।
অপরদিকে রোববার থেকে বন্ধ ছিলো বিভিন্ন শিল্প কারখানা। তিনদিন বন্ধের পর বুধবারে সকালে খুলেছে বিভিন্ন শিল্প কারাখানা গুলো। সকালে দেখা গেছে কলকারখানাসহ পোষাক কারখানার শ্রমিকদের নিজ নিজ র্কমস্থলে যেতে। এদিকে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি নানা পেশাশ্রেনীর মানুষে আন্দোলনে যোগ দেয়। আন্দোলন বন্ধ হলেও কাটেনি ভয় আতঙ্ক। এদিকে সকালে শ্রমিকদের আত্বঙ্কের মধ্যেই নিজ কর্মস্থলে যেতে দেখাগেছে।তবে নিরাপত্তা জোরদারে সেনাবাহিনীর টহল নিয়মিত অব্যহত রয়েছে।
স্টারলিং কারখানার শ্রমিক দুলাল আহমেদ ও সুলতানা বেগম বলেন, ছাত্র আন্দোলনের কারনে ভয়ে তিনদিন পর কারখানায় যাচ্ছি। ভালো লাগছে তবে ভয়ে আছি চতুর দিকে যেভাবে ভাংচুর জ্বালাও পোড়াও এর ঘটনা ঘটেছে এতে আমরা আতঙ্কে আছি।