গাজীপুরের কালিয়াকৈরে দুই দিনে গুলিবিদ্ধ ৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলা আনসার একাডেমীর লেক থেকে গুলিবিদ্ধ একজন নামের একজন এবং উপজেলার পাইকপাড়া এলাকায় বনের ভেতর থেকে গুলিবিদ্ধ এক গার্মেন্টস শ্রমিকরে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
অপরদিকে সোমবারে ভাওয়াল বদরে আলম সরকারী কলেজের একাদশ প্রথম বর্ষের ছাত্র তানজিম আহমেদ (১৮) রুখতন মিয়া (৪২) ও অন্তর হোসেন (২৫) সহ তিনজনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার হয়। নিহত গুলিবিদ্ধ শাহিন মিয়া (৪০) শেরপুরের শ্রীবরদী থানার গোবরী কোডা এলাকার মৃত শাজাহান আলীর ছেলে। নিহত রুখতন হলেন নেত্রকোনা আটপাড়া উপজেলার নারাচাতাল গ্রামের আদর আলীর ছেলে। শাহিন মিয়া কালিয়াকৈর উপজেলা বোর্ডমিল এলাকার ভাড়া থেকে ভ্যান চালাত। অপর জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। অপরদিকে ইলিম, অন্তর মিয়া, তানজিম এ তিনজনের নাম ছাড়া পরিচয় পাওয়া যায়নি। পাইকপাড়া থেকে উদ্ধার হওয়া লাশের পরিচয় মিলেনি তবে মৌচাক এলাকার সাদমা ফ্যাশন কারখানার শ্রমিক বলে জানা গেছে।
জানা যায়, গত সোমবার কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর আনসার একাডেমিতে জনতার সাথে আনসার সদস্যদের সংঘর্ষ হয়। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিতে আনসার সদস্যরা শত শত গুলি ছুড়ে। এসময় শতাধিক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে আহতদের মধ্যে ইলিম সিকদার ও অন্তর নামের দুইজেনর মৃত্যু হয়। ঘটনার একদিন পর মঙ্গলবার আনসার একাডেমীর লেকে শাহিনুর নামের এক জনের লাশ পানিতে ভাসতে দেখে। পরে লাশ বিকেলে স্বজনরা উদ্ধার করে নিয়ে গেছে। অপর দিকে উপজেলা পাইকপাড়া এলাকায় মাথায় গুলিবিব্ধ অজ্ঞাত পরিচয় এক গামেন্টস শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়। অপরদিকে সফিপুর এলাকার তানজিম সোমবার আন্দোলনে গিয়ে নিখোজ হয়। পরে আশুলিয়া বালুর মাঠে এলাকায় তানজিমের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। এনিয়ে গত দুই দিনে গুলি বিদ্ধ হয়ে ৬ জন নিহত হয়েছে।