আল আমিন হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত ছাত্রলীগ নামধারী খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে: মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা আল আমিনকে নামধারী কিছু ছাত্রলীগ নেতারা অত্যান্ত নির্মম ভাবে হত্যা খুন করেছে। কে বা কারা এটা করেছে তাদের খোঁজে বের করতে আমাদের আর কষ্ট করতে হবে না। তাদের পরিচয় প্রশাসন ও সব মহলের কাছে আছে। তারা যে দলেরই হোক না কেন তাদের পরিচয় তারা খুনি। আর কোন খুনির সাথে আমাদের দলের কোন রকম সম্পর্ক নেই।
সোমবার (১০ জুল) দুপুরে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদে কার্যক্রম শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক (এমপি)। এসময় নিহত ছাত্রলীগ নেতা আল আমিনের পরিবার ও এলাকাবাসী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করেন।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী বলেন, খুনিরা দেশের অভ্যান্তরেই রয়েছে। প্রশাসনকে আহবান জানাচ্ছি অতি দ্রুত তাদের খোঁজে বের করে গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আমাদের দেশনেত্রী শেখ হাসিনার পরিবারের ১৮ জনকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছিল। তার চেয়ে আঘাত এ দেশে আর কেউ পায়নি। অর্থাৎ একটি পরিবারের কাউকে হত্যা করা হলে তাদের কেমন আঘাত লাগে তা প্রধানমন্ত্রী জানে। তাই তিনি বিষয়টি আমলে নিয়ে পুলিশ প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, এ দেশের পুলিশের প্রধান, সেনাবাহিনীর প্রধানরা তাদের অপকর্মের দায় এড়াতে পারেনি। তাদের উপর কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সেখানে ছাত্রলীগ নামধারী এসব হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূল্যক বিচার হবে। যাতে তাদের মতো এমন কাজ আর কেউ করতে সাহস না পায়। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা র্নিবাহী র্কমর্কতা কাউছার আহামেদ, নব র্নিবাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান সেলিম আজাদ, উপজেলা আ’লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম তুষার, নব র্নিবাচিত ভাইস চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন শাহিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শরিফা আক্তার প্রমূখ।
উল্লেখ, গত বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আধিপত্য বিস্তার করতে কালিয়াকৈর পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ঈমন হোসেনের নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারী কলেজের পাশেই চন্দ্রা এলাকায় ঢাকা টাঙ্গাইল মহসড়কের পাশে – ডাইনকিনি সড়কের নায়াগ্রার ঢাল এলাকায় একত্রিত হলে সেখানে একপক্ষ হঠাৎ ধারালো অস্ত্র নিয়ে এসে ওই করেজের দ্বাদশ শ্রেণী শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আল আমিন ও কামরুল হাসান রবিন নামে দুজনের উপর হামলা চালায়। এসময় অভিযুক্তদের এলোপাতাড়ি কুপে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারায় আল আমিন। গুরুতর আহতাবস্থা কামরুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই নিহত আল আমিনের পিতা বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।