পুনম শাহরীয়ার ঋতু,গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে গত ২৩ তারিখ সোমবার থেকে বেতন বৃদ্ধিও দাবিতে পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করছে। এসময় শ্রমিকরা ২৩০০০ টাকা বেতন বৃদ্ধিও দাবি জানান।
ঊুধবার(২৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে দশটার দিকে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের তেলিরচালা এলাকায় হটাৎ করেই ৮ থেকে ১০ টি কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। পরে সেখান থেকে শিল্প পুলিশ থানা পুলিশ সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনি তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিলে ফের উপজেলার নিশ্চিন্ত পুর এলাকায় এসে শ্রমিকরা ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে।
এসময় মহাসড়কের দুই পাশেই ৫ কিলোমিটার এলাকা জুরে র্দীঘ যানজটের সৃষ্টি হলে ভোগান্তীতে পরে যাত্রীরা। অপরদিকে কোথাও কোথাও শ্রমিকরা যানবাহন চালকদের সাথে মারমূখি আচরন করে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে দুপুর দেরটার দিকে মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হলে ফের দুইটার দিকে আবার তেলিরচালা এলাকায় ঢাকা টাড়ঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে গাড়ি ভাংচুর সহ পুলিশ কে লক্ষ করে ইট পাটকেল ছুরে বিক্ষোপ্ত শ্রমিকরা।
অপরদিকে ভাংচুর করা হয় কয়েকটি কারখানা। অপরদিকে মহাসড়ক অবরোধের কারনে ঢাকা টাড়ঙ্গাইল মহাসড়কের প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকা জুরে র্দীঘ যানজটের সৃষ্টি হলে পুলিশ ২০ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে বিকাল ৪ টার দিকে যানচলাচল স্বাভাবিক করে।
এদিকে লগোজ এপারেলস ,শামশুদ্দিন স্পিনিং,জেনারেল ফার্মা,বে ফুটয়্যার,লিজ ফ্যাসান ,যমুনা গ্রæপ সহ ৮ থেকে ১০ টি কারখানায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে ক্ষিপ্ত শ্রমিকরা ।এসময় প্রায় ৪ হাজারের মতো কারখানার শ্রমিকরা এতে অংশ নেয়। এদিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হলে ফের বিকাল সাড়ে পাচটার দিকে পল্লীবিদুৎ হরিনহাটি এলাকায় ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে এপেক্স ফুড ওয়্যার লিমিটেড কারখানার মেইন গেইট ভাংচুর করার চেষ্ঠা করে। পরে পুলিশ এসে ১৫ রাউন্ড টিয়াসেল ও সাউন্ড গ্রেনেট ছুরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। অপরদিকে সেখানেও শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ কওে ইট পাটকেল ছুড়ে। এ ঘটনায় চন্দ্রাসহ কোনাবাড়ি এলাকা র্পযন্ত ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে কোন প্রকার র্দূঘটনা ও নাশকতা এরাতে বিপুল পরিমান পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কালিয়াকৈর সার্কেল এ এস পি আজমির হোসেন বলেন পরিস্থিতি নিয়ুন্ত্রনে আনতে পুলিশ মোতায়েন করেছি তার পরেও শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেছে। এক পাশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনলে আবার অন্যপাশে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তবে বিপুল পরিমান পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই নাশকতার পিছনে কারা ইন্দন দিচ্ছে বিষটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জরিতদের দ্রæতই আইনের আওতায় আনা হবে।