গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক ধোপাচালা এলাকায় এক যুবতী (৩৪) গণর্ধষনের আিভযোগে সোমবার রাতে হাফিজুর ইসলাম(১৯) নামের যুবক গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত যুবক হলেন সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুর উপজেলার রুপশি গ্রামের গাফ্ফার আলী ভূঈয়ার ছেলে। অপরদিকে উপজেলার কালামপুর এলাকায় নারী পোষাক শ্রমিককে র্ধষনের অভিযোগে নুরুল ইসলাম(৩৫)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সে একই সারেহাবাদ গ্রামের হালিম দেওয়ানের ছেলে ।গ্রেফতারকৃত দুইজনকেই মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুর জেল হাজতে প্রেরন করেছেন পুলিশ।পুলিশ সূত্র জানায় গত ২৬ এপ্রিল রাতে র্ধষনের শিকার ওই যুবতী ফাহিম আহমেদ সোহাগ (৩৫) ও রায়হান আলী(৩৬) দুই বন্ধুর সাথে উপজেলার মৌচাক ধোপাচালা এলাকায় আয়নাল হকের বাড়ির ভাড়াটিয়ার হাফিজুরের কক্ষে বেড়াতে আসেন। এসময় সোহাগ ওই যুবতীকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে রাতে থেকে যায়।
এদিকে গভীর রাতে সোহাগ ,রায়হান ও হাফিজুর মিলে রাতভর জোরপূর্বক একাদিকবার র্ধষন করেন। র্ধষনের এক পর্যায়ে ওই যুবতি অজ্ঞান হয়ে পরলে ভোরে ওই যুবতীকে গাজীপুর চেীরাস্তা এলাকার একটি খাবার হোটেলের সামনে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে ওই যুবতী স্থানীয়দের সহায়তায় চিকিৎস্যা শেষে ২৮ এপ্রিল তিনজনের নাম উল্লেখ্য করে কালিয়াকৈর থানায় একটি ধর্ষনের অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সোমবার রাতে হাফিজুর কে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুর জেল হাজতে পাঠায়। এ ঘটনার অপরদুই অভিযুক্ত সোহাগ ও রায়হান ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।
এদিকে ধর্ষনের শিকার ওই নারী পোষাক শ্রমিক সাভার আশুলিয়া এলাকায় একটি পোষাক কারখানায় চাকরি করতেন তিন মাস আগে সাহাবুদ্দিনের সাথে ফোনে পরিচয় হয়। এরপর থেকেই দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে ওই যুবক চাকরি দেবার কথা ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ৩ এপ্রিল বিকালে কালিয়াকৈর চন্দ্রা এলাকায় আসার কথা বলে।
পরে চন্দ্রা এলাকায় আসলে বিবাহ করবে বলে কালামপুর গায়েনবাড়ি এলাকায় নুরুল ইসলামের বাসায় নিয়ে যায়। ওখানে স্ত্রী পরিচয় দেয়। স্বামী স্ত্রী হিসেবে দুজনেই ওই বাসার একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকে। এরপর একাধিকবার ওই নারীকে র্ধষন করেন । পরে ওই যুবক নারীকে ভাড়া বাসায় রেখে গত ১০ তারিখে রাতে তাহার গ্রামের বাড়ি চলে যায়।
পরের দিন রাত দশটার দিকে ওই যুবক বাসায় ফিরে আসে। এদিকে বিয়ে না করে একসাথে বসবাসের বিষয়টি জানাজানি হলে ওই বাসার মালিক নূরুল ইসলাম ওই যুবককে ভয় ভীতি দেখিয়ে বাসা থেকে বের করে দেয়। এ সুযোগে গত ১৫ তারিখ সকাল সাতটার দিকে নূরুল ইসলাম ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
পরে ওই নারী সাহাবুদ্দিন ও নূরল ইসলাম নামে দুই জনের নাম উল্লেখ করে কালিয়াকৈর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার রাতেই বাড়ির মালিক নূরুল ইসলামকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেন পুলিশ। কালিয়াকৈর থানার পরির্দশক (তদন্ত) জাফর আলী খান বলেন যুবতি ও নারী পোষাক শ্রমিককে ধর্ষনের পৃথক ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। এ দুই ঘটনার সাথে জরিত অন্যন্যদের গ্রেফতারের চেষ্ঠা অব্যহত রয়েছে ।